রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। সাইফুল ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের খিলগাঁওয়ের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফখরুল আলম বলেন, খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সবুজবাগ থানার মধ্যে পড়েছে। তবে ভিকটিম সাইফুল ইসলামের বাসা খিলগাঁও থানায় এলাকায়, যে কারণে এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় কে বা কারা সাইফুলের ওপর গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
সাইফুলকে হত্যার চেষ্টাকারী কচি, সুমন, রিপন, ইমন, চাপাতি রাসেল, অনিক গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ একাধিক অভিযোগ আছে।
স্বদেশ কন্ঠকে সাইফুলের স্ত্রী জানান, সন্ধ্যায় রেলগেট এলাকায় পল্টি রিপন, সুমন, রাসেল, কচি, হালিম, ইমন, চাপাতি রাসেল, উজ্জ্বলসহ ৮/১০ জনের সঙ্গে শত্রুতার জেরে সাইফুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিপন বেশ কয়েকটি গুলি করেন সাইফুলকে। ৩টি গুলি তার শরীরের বিদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই আব্দুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে ৩টি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
র্যাব, পুলিশ, সিআইডি এ বিষয়ে তদন্ত করছে। খিলগাঁও সবুজবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ বাহিনী সন্ত্রাসী কচি-রিপন-সুমন-ইমন গংদের খুজছে। কচির বাসা খিলগাঁও নবাবি মোর ও বাকিদের বাসা বাসাবো সুবজবাগ থানাধীন। বিস্তারিত আসছে।