Friday, April 19

এই শীতে সহজেই করুন আপনার ত্বকের পরিচর্যা!

ছবির মডেল: আরিয়া সিদ্দিকা, ছবি: অরন্য জিয়া।

লাইফ স্টাইল ডেস্ক, স্বদেশ কন্ঠ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:

ত্বক সুন্দর রাখতে কার্যকর রূপচর্চার জন্য রয়েছে সহজ পন্থা।

শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক হয়ে পড়ে মলিন ও নির্জীব। তাই এই সময়ে ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শীতে ত্বকের বাড়তি পরিচর্যার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

পানি থেকে সুরক্ষা: গোসলের আগে ত্বকে পরিষ্কারক তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন। ত্বক তেল শুষে নেওয়ার পরে গোসল করা উপকারী। গোসলের পরে ত্বক আর্দ্র অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

ত্বক পরিচর্যা: শীত থেকে বাঁচতে আমরা যেমন শীতের পোশাক ব্যবহার করি একইভাবে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ত্বক পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখতে সিরাম, ফেইস অয়েল ও আর্দ্রতা রক্ষাকারি ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন।

চোখ ও ঠোঁটের বাড়তি যত্ন: চোখ ও ঠোঁটের চারপাশের ত্বক অনেক বেশি কোমল থাকে তাই এর বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই অংশে সিরাম ও তেল ব্যবহার ত্বককে আর্দ্র ও সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। ঠোঁটের ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে উন্নত মানের লিপবাম ব্যবহার করুন।

ত্বকের প্রাকৃতিক পরিচর্যা: ত্বক ও শরীরের যত্নে সুগন্ধি রাসায়নিক পণ্য ত্বককে আরও শুষ্ক করে ফেলে। তাই এই সময়ে ত্বকে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করা প্রয়োজন।

শক্তিশালী, অ্যালকোহল সমৃদ্ধ ভারী পরিষ্কারক ব্যবহার না করা: শীতকালে উন্নত ক্রিম ও বাম ব্যবহার করা জরুরি। ত্বক পরিষ্কার করতে দুই ধাপ মেনে চলুন। প্রথমে জল ভিত্তিক পরিষ্কারক ও পরে শুষ্ক পরিষ্কারক ব্যবহার করুন।

 

ছবির মডেল:আরিয়া সিদ্দিকা, ছবি: অরন্য জিয়া।

 

***************************

আরও পড়ুন

শীতে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে

শীতকালে ত্বকের মতো আপনার চুলেরও যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রতা প্রয়োজন, কারণ এটিই আপনার চুল শুকনো এবং ভঙুর হতে বাধা দেয়। ঘরেই চুলের আদ্রতা ধরে রাখতে যেভাবে চুলের যত্ন নেবেন:

ছবির মডেল:আরিয়া সিদ্দিকা, ছবি: অরন্য জিয়া।

দই
প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস দই।

দই ভিটামিন এ, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, এগুলো সবই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল নরম এবং ময়েশ্চারাইজ করে। দইতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা খুশকি দূর করতে কার্যকর। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজ কন্ডিশনার
প্রাথমিকভাবে হালকা ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই জরুরি যে, আপনার মাথার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় কিংবা ফেটে না যায়। যদি হারবাল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যালার্জি আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন।

চা গাছের তেল
চা গাছের তেল থেকে তৈরি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও অন্যান্য চুলের প্রসাধনী মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ উপকারী। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার চা গাছের তেল চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

ভিটামিন বি ও জিঙ্ক
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ‘বি’ ও জিঙ্ক অতি জরুরি। আখরোট, ডিম ও শাক-সবজিতে ‘বি’ ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। আপনার যদি এসব খেতে ভালো না লাগে তাহলে সালাদ বানিয়ে মেয়োনিজ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখতেও আকর্ষণীয় হবে স্বাদ ও বেড়ে যাবে।

কম প্রসাধনী ব্যবহার
যেহেতু শীতে ত্বক ও মাথার ত্বক শুকনো হয়ে যায় ও চুলও আর্দ্রতা হারায় তাই এ সময়ে চুলে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা পণ্যের রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ মাথার ত্বকে চুলকানি ও ঘন ঘন খুশকির উদ্রেক করে।

বেশিবার চুল ধুবেন না
ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হতে পারে। গরম পানি কখনোই  মাথায় ঢালবেন না।

হালকাভাবে ঘষুন
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আলতোভাবে ঘষুন। নাহলে মাথার ত্বক চিরে যেতে পারে ও ফুসকুড়ি উঠতে পারে। চুলে রং করলে মাথার ত্বকে এর প্রভাব পড়ে ও খুশকি হয়। শীতে চুলে রং করা থেকে বিরত থাকুন।

তেল গরম করে নিন
জলপাই বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। দু’এক ফোঁটা সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করে দিন। হালকা ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুধু খুশকি মুক্তই হবে না, হবে আকর্ষণীয়ও।

ভালোভাবে পরিষ্কার করুন
খুশকি মূলত চুল ভালোমতো না ধোয়ার কারণে বেশি হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করুন। খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে চুল ধুতে যাবেন না। খুশকি তাড়াতে লেবু পানি ব্যবহার করতে পারেন।

ডিম 
ডিম কেবল চুলকে আদ্রতা বাড়াতেই  সহায়তা করে না, চুলের মেরামত এবং মাথার ত্বকে কন্ডিশনিং করে ভাঙা রোধ করে। ডিম প্রোটিন এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ, মাথার ত্বক এবং চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে আকর্ষণীয় ও মজবুত করে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

Leave a Reply