Monday, March 25

ম্যাশ বাহিনীকে চিন্তিত আফগানিস্তান

ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে সাত ম্যাচের তিনটি হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে চার ম্যাচের তিনটাতেই হারিয়েছে। আফগানদের কি সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ আছে?

৪-৩! দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবটা যদি এমন নয়; নিশ্চিত ফেবারিট কাউকে বলার উপায় কি থাকে? বাংলাদেশ আফগানদের বিপক্ষে এক ম্যাচ বেশি জিতেছে। এটি মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান নয়; বাংলাদেশের যেকোনো সমর্থকের কাছে আফগানদের কাছে হেরে যাওয়া নিখাদ অঘটন, যেটা মেনে নেওয়া কঠিন। যদিও গত এশিয়া কাপেই আফগানদের বিপক্ষে ১৩৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার স্মৃতি আছে। ওই টুর্নামেন্টেই ফিরতি দেখায় বাংলাদেশ জিতলেও ব্যবধানটি ছিল মাত্র ৩ রানের—এও তো সত্যি।

আফগানরা এই লড়াইকে কীভাবে দেখে? গত ম্যাচে সাউদাম্পটনের এই মাঠে ভারতের ঘাম ছুটিয়ে দেওয়ার টাটকা স্মৃতিতে বলীয়ান আফগান অধিনায়ক তো এমন কথা বলে বসলেন, আঁতে ঘা লেগে যেতে পারে বাংলাদেশের সমর্থকদের। গুলবদন নাইবের প্রশংসাটা আদতে তো খোঁচাই। ‘বাংলাদেশকে সহজভাবে নিচ্ছি না’—এই ধরনের কথা ৫-৬ বছর আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কেরা বলত ম্যাচের আগে। তাই বলে আফগান অধিনায়কও!

নাইবের কথাতে প্রায় কাছাকাছি সুর, ‘এই বাংলাদেশ দলকে দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ। ওরা কী খেলাটাই না খেলছে, কী দারুণভাবে এই টুর্নামেন্টটা শুরু করেছিল! আমি মনে করি বাংলাদেশকে সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ওরা খুব ভালো দল। এই পর্যায়েও ওরা দারুণ উন্নতি করেছে। তবে ম্যাচের দিন যে ভালো খেলে, সেই জেতে। ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে আমরাও দারুণ খেলেছি। মনে রাখবেন, আফগানিস্তানও কিন্তু সহজ প্রতিপক্ষ নয়। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে প্রথম চারটা ম্যাচে আমরা খুবই বাজে খেলেছি। কিন্তু গত দুই ম্যাচে কীভাবে লড়াই করেছি, সবাই জানে। প্রতিদিনই আমরা উন্নতি করছি। আগামীকাল আমরা সেরা ক্রিকেটটাই খেলব, ইনশা আল্লাহ।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতার আকাঙ্ক্ষা, দেখিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি খুব সচেতনভাবেই দিয়েছেন গুলবদন নাইব। আফগান অধিনায়ক অবশ্য এর ফাঁকে ব্যাখ্যা করেছেন, কেন বাংলাদেশকে ‘সহজভাবে’ নিচ্ছেন না, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট দারুণ উন্নতি করেছে। মাশরাফি অধিনায়ক হওয়ার পর ওরা সব বিভাগেই ভালো করছে। এশিয়ার দলগুলো কিছু কিছু দেশ—যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এমনিতেই ভোগে। কিন্তু গত চার বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তাদের দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাটিং আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। মাশরাফিকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা ৫০ ওভারের ক্রিকেটও দিনে দিনে আরও ভালো খেলছে। আমি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক মৌসুম খেলেছি। খুবই উপভোগ করেছি ওদের ওখানকার ঘরোয়া ক্রিকেট। ক্রিকেট ব্যাপারটাই এমন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষ পর্যায়েও আপনি ভালো করবেন।’

Leave a Reply