ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্ট। বলেছে, ব্রেক্সিট শুরু করতে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এমন নির্দেশে ইউরোপের কর্মকর্তাদের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় নি। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন কর্মকর্তা। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চার্লি ফ্লানাগান বলেছেন, ব্রেক্সিট সমঝোতার জন্য বৃটিশ সরকার মার্চকে ডেডলাইন হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তাদের সেই সিদ্ধান্তকে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাই। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সামনে রেখে আগে থেকেই ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রস্তুত ছিল আয়ারল্যান্ড। তিনি বলেন, বৃটিশ সরকার তার সর্বশেষ প্রতিশ্রুতিতে বলেছে মার্চ মাস শেষ হয়ে যাওয়ার আগে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করবে। তাদের এমন নিশ্চয়তাকে আমি স্বাগত জানাই। অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা হলে বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হবে। জার্মানিতে ফ্রাঙ্কফুর্টার অ্যালজিমেইনে জিতুঙ্গ পত্রিকা তার এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবেই। তবে অন্য পত্রিকাগুলো বলছে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কমিশনের মুখপাত্র মার্গারিটিস শিনাস সাংবাদিকদের বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ বিচ্ছেদের বিষয়টিতে প্রাধান্য দিতে হবে। যদি কেউ বিচ্ছেদ চায় আবার নতুন সম্পর্কের অধীনে বন্ধু থাকতে চায় তাহলে তাকে প্রথমেই বিচ্ছেদ প্রক্রিয়াটিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকে তাদের বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তারপর এর ভিত্তিতে ভবিষ্যতে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। তবে তিনি বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে তাদের অবস্থান থেকে কোনো মন্তব্য করেন নি। শুধু বলেছেন, এ রায় দিয়েছে বৃটেনের সুপ্রিম কোর্ট। এটা এখন বৃটিশ সরকারের বিষয়, বৃটেনের বিষয়। ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি বা এর পরিণতি নিয়ে এখন তারাই ভাববে।