নুরুল হাসান সোহানের করা একটি রানআউটের সিদ্ধান্তের পূনর্বিবেচনা দাবী করেছেন মাইক হেসন। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী দুর্দান্ত ওই রানআউটটি সঠিক হলেও নিউজিল্যান্ডের কোচ মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ আছে। এমন কি তিনি ওই রানআউটের রিভিউ দাবি করেন। ঘটনা নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের। বাংলাদেশের ২৮৯ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়। শেষদিকে দারুণ লড়াই করেন নেইল ওয়াগনার। ১০ নম্বরে নেমে ২৬ রানে তিনি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের করা ওই রানআউটটি ছিল অবিশ্বাস্য। ট্রেন্ট বোল্ট ও ওয়াগনার একটি বলে দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় দেন। কামরুল ইসলাম রাব্বি বলটি কুড়িয়ে সোহানের কাছে ছুড়ে দেন। সোহান বলটি হাতে লুফে উড়ন্ত বলকে ধাক্কা দিয়ে স্টাম্পের দিকে ঠেলে দেন। ওয়াগনারের উইকেট ভেঙে যায়। ওয়াগনার তখন পপিং ক্রিজের মধ্যে ঢুকে গেছেন। বিপদসীমা পেরিয়ে ক্রিজে ব্যাটও স্পর্শ করেন। কিন্তু বল যখন স্টাম্প ভাঙে তখন তিনি ছিলেন শূন্যে ভাসমান। ওই মুহূর্তে ব্যাট কিংবা তার শরীরের কোনো অংশ পপিং ক্রিজে স্পর্শ করা ছিল না। টিভি রিপ্লেতে বারবার দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সেটাকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এই রানআউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডের কোচ মাইক হেসন। বলেন, ‘এটা অন্যায্য। আপনার ব্যাট যখন লাইন পার হয়ে ক্রিজ স্পর্শ করে তারপর আবার ক্রিজ স্পর্শ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এরপর রানআউট করলে সেটা রান আউট হওয়া উচিত নয়। এই নিয়ম অনেকদিন থেকে চলে আসছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মনে করি- এই নিয়ম নিয়ে চিন্তা করার বিষয়। ওয়াগনারের রানআউট হওয়াটা অবিশ্বাস্য।’ অবশ্য এমন আউট এই প্রথম নয়। নিউজিল্যান্ডের রস টেইলরকে একবার ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এমন আউট করেছিলেন। এছাড়া, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাব্বির রহমানকে একইভাবে আউট করেন ধোনি। সাব্বির তখন বল ঠেকাতে গিয়ে ক্রিজের মধ্যে লাফিয়ে ওঠেন। বলটি ব্যাট মিস করে ধোনির হাতে জমা পড়ে। তিনি সেটা ধরে সাব্বিরের উইকেট ভেঙে দেন। সাব্বির তখন পপিং ক্রিজের মধ্যে লাফিয়ে শূন্যে ভেসে ছিলেন।