Tuesday, April 23

দৃষ্টি আকর্ষণ: মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক:
মাত্র ১০ (দশ) লক্ষ টাকা ঘুষ না দেয়ার কারণে আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর এম.ডি সাহেব।

মা আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালিন কোম্পানী কমান্ডর। অতি দঃখের সহিত আপনাকে জানাইতে বাধ্য হচ্ছি যে, গত ২৬-০৯-২০১২ ইং তারিখে শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশেষ নিয়োগের জন্য সোনালী ব্যাংক লিঃ একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আমার ছেলে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ২৯-০৩-২০১৩ ইং তারিখে মৌখিক পরীক্ষার দিন আমি সোনালী ব্যাংক লিঃ এর এম.ডি সাহেবের সাথে দেখা করি এবং বলি যে, স্যার ২৫-১২-২০১৩ ইং তারিখে আমার ছেলের বয়স ৩২ বছর পূর্ণ হবে
চাকরিতে ঢুকার আর কোন সুযোগ থাকবে না। তিনি আমাকে বললেন যে এই বিজ্ঞপ্তি টি শুধু মাত্র তাদের জন্য এই স্পেশাল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আপনার ছেলের রেজাল্ট ও ভাল। মৌখিক পরিক্ষা শেষ হওয়ার পরেও আমি এম,ডির সাথে সাক্ষাৎ করি। এম.ডি স্যার আমার ছেলের প্রসংশা করে বলেন যে আপনার ছেলেকে পার করে দিয়েছি, আপনি বাড়ী চলে যান।

২। আমি বাড়িতে আসার পর রাত্র আনুমানিক ১১টার সময় আমার ছেলের
কাছে একটি ফোন আসে ফোনে বলেন যে আপনি রিটেন ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়েছেন। আপনি ১০(দশ) লক্ষ টাকা নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন। আমার ছেলে ফোনটি আমাকে দেন আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে লোকটি বলে যে আমি এম,ডি স্যারের নিজের লোক। ২/৩ দিন পর ২১৯ জনের নিয়োগের তালিকা বের হবে আপনি যত তাড়াতাড়ি পারেন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন। আমি বলি যে এত টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা আমার নেই। আবার আমাকে ফোন করে বলেন যে যদি ১০ (দশ) লক্ষ টাকা নিয়া দেখা না করেন তাহলে ২১৯ জনের সাথে আপনার ছেলের নাম নাও আসতে পারে। আমি তাকে বলি যে এম,ডি স্যার বলেছেন আমার ছেলের চাকরী হবে।
৩। ২৭/০১/২০১৪ ইং তারিখে ঐ লোকের কথামত ১ম ধাপে নিয়োগের জন্য ২১৯ জনের তালিকা বের করেছেন। কিন্তু ঐ তালিকায় আমার ছেলের নাম নাই। পরে আমি এম,ডি সাহেবের সাথে আবারও দেখা করি এবং ১০(দশ) লক্ষ টাকার ঘটনাটি বলি।এম,ডি সাহেব আমাকে বলেন যে আবারও কিছু লোক নেওয়া হবে তাহাতে আপনার ছেলের নাম থাকবে। আবারও ৭/৪/১৪ ইং তারিখে ২য় ধাপে ৫৫ জনের আরও একটি তালিকা বের হলে দেখিযে তাহাতে আমার ছেলের নাম নাই। আবারও ৮/৬/১৪ তারিখে ১০ জনের একটি তালিকা বের হয় তাহাতেও আমার ছেলের নাম নাই।
১১-০৪-২০১৪ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংকের এম.ডি বরাবরে একটি আবেদন করি এবং উক্ত আবেদন পত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া মন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশ ছিল। এম.ডি আমার আবেদন পত্রে কিছু লিখেন এবং উনার পি.এস কে দেন। সাথে সথে উনার পি.এস, এম.ডি সাহেব আমার আবেদন পত্রে কিছু লিখেন এবং উনার পি, এসকে দেন। সাথে সাথে উনার পি, এস, এম.ডি সাহেবকে বলেন যে স্যার উনিতো আমাদেরকে এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়ালেন না। সাথে সাথে এম. ডি সাহেব তার স্বাক্ষরটি গজ গজ করে কেটে দিয়ে পি.এস কে আমার আবেদন পত্রটি দেন। আমি পি.এসের নিকট আমার আবেদন পত্রটি ফেরত চাইলে পি.এস আমার আবেদন পত্রটি ফেরত দেননি। পরের দিন আবারও আমার আবেদন পত্রটির একটি ফটোকপি চাইলে ফটোকপি দেন। উক্ত আবেদনের ফটোকপি আমার কাছে রক্ষিত আছে।

৫। মমতাময়ী মা পরবর্তীতে আপনার বরাবরে কয়েকটি আবেদন করি কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। আপনার অর্থ উপদেষ্টা বরাবরে কয়েকটি আবেদন করি, অর্থ মন্ত্রী বরাবরে আবেদন করি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি।
মমতাময়ী মা আমি একজন সাধারন কৃষকের ছেলে। আমার অংশে যে জমাজমি ছিল সব বিক্রি করে ছেলেকে লেখা পড়া করিয়েছি।
বর্তমানে আমি ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্রেইন ষ্ট্রোক সহ বিভিন্নধরনের রোগে আক্রান্ত। ঔষধ পত্র ক্রয় করে খাওয়ার মত সামর্থ আমার নেই। এখন আপনি ছাড়া আমার পরিবারটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার মত কেউ নাই। যদি আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটিকে বাঁচাইয়া রাখিতে চান তা হলে ২৭-০১-২০১৪ ইং থেকে আমার ছেলের নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিলে আমার পরিবারটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সাথে সাথে আমাকে চলছতুরী বরে বঞ্চিত করার জন্য ততকালীন এম.ডি সাহেবকে উচিত সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য আপনার নিকট আবেদন করিতেছি। যদি এই মুহূর্তে আপনি মমতাময়ী মা হয়ে আমার পাশে না দাঁড়ান তাহলে যে কোন সময় একটি দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যা পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে।

বিনীত নিবেদক
বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ,
পিতা:মৃত মো.শুকুর মাহমুদ, গ্রাম: তুলাকান্দি, ডাকঘর:শিমুলকান্দি, উপজেলা: ভৈরব বাজার, জেলা: কিশোরগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭২০২২০১০৩

Leave a Reply