বিনোদন প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নাটক “কঙ্কাল” নিয়ে আসছেন আজম খান। নাটকটির শুটিং শেষ। আগামী ২৬ মার্চ মাছরাঙ্গা টিভিতে এটি প্রচারিত হবে। এ প্রসঙ্গে আজম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক নাটকই নির্মিত হচ্ছে। তবে সে সব নাটকের ভীড়ে আমার এই নাটকটির কাহিনী ও বিন্যাস দর্শকদের মনে কিছুটা হলেও দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস। দর্শকদের প্রতি অনুরোধ রইলো নাটকটি দেখার জন্য।
আজম কান জানান, এটি ছাড়াও তার লেখা আরো কয়েকটা নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
নাট্যকার আজম খান একজন দক্ষ সংগঠকও বটে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ৭ম জাতীয় কংগ্রেস আওয়ামী যুবলীগের উৎযাপন কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্য এবং সাজসজ্জা কমিটির সঙ্গেও কাজ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজম খান ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ফেনী কলেজের ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।যুবলীগের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করছেন, বর্তমানে তিনি, সেন্টাল কমিটিতে প্রোপাইল জমা দিয়েছেন, তিনি আশা করেন সাংস্কৃতি সম্পাদক পদটি অলংকিত করতে পারলে যুব সমাজের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাবেন। কাজ করার ন্য তিনি ইতি মধ্যে কিছু গবেষনা করেছেন, যদি গবেষনালব্ধ প্রোফাইলটি নিয়ে সারা বাংলাদেশে কাজ করলে যুবলীগকে মানুষ মনেপ্রানে কাছে টেনে নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কর্মজীবনে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠে একটানা এগার বছর প্রশাসনিক বিভাগে কাজ করেছেন। চাকরী ছেড়ে দিয়ে তিনি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে তিনি হাতিরঝিল, ইস্কাটন, দিলুরোড, বাংলামটর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এতো ব্যস্ততার মাঝেও বই মেলায় তার ‘একজন বিল্পবী ও লাবণ্য লতা’ নামে প্রকাশিত উপন্যাসটি আলোচিত হয়। নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে রচিত এই বইটি যুব সমাজের কাছে সমাদৃত হয়।
এছাড়া তিনি চয়ন ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন স্বাধীনতা সাংস্কৃকিত পরিষদের সাথে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রিয় পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু গবেষণা রিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর অজানা অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। তিনি গনতন্ত্রের মানষ কন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উত্থান পতন ৩৯ নিয়ে রাজনীতি সমিক্ষা, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিয়ে লেখার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী আগষ্টে বইটি বাজারে উমুক্ত করা হবে। এই বইটিতে পাঠক বুঝতে পারবে কিভাবে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত রাজনীতি সচেতন নাট্যকার আজম খান বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। কারণ, সাংস্কৃতির অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতির সুফল ঘরে ঘরে পৌছানো আমার ইচ্ছে। ধর্মান্ধতার অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোয় নিয়ে এসে যুব সমাজ সাংস্কৃতিক আবহে বিচরন করুক, আমি এটাই চাই। কারন, দেশের যুব সমাজ এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে।’