Friday, April 19

নাইজেল ফারাজের গোপন প্রণয় নাকি গুজব!

52344_leadতবে কি যা শোনা যাচ্ছে তা-ই সত্যি! শোনা যাচ্ছে লন্ডনে ব্রেক্সিটের মূলে থাকা সাবেক ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ফ্রান্সের চতুর সাবেক ওয়েটার লঁরা ফেরারি’র। চেলসিতে তারা ৪০ লাখ পাউন্ডের একটি বাসায় দিনযাপন করছেন। তবে নাইজেল ফারাজে স্বীকার করেছেন তিনি লঁরা ফেরারির (৩৭) সঙ্গে বসবাস করছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। কিন্তু তার এমন দাবি নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, যখন দেখা গেছে তার স্ত্রী কিরস্টেন (৫০) বাসা থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং তখন তার হাতে বিয়ের আংটি নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল সহ বৃটিশ অনেক মিডিয়া। এতে বলা হয়, লঁরা ফেরারি এখন ফ্রান্সের একজন আকর্ষণী নারী রাজনীতিক। তাকে নিয়ে নাইজেল ফারাজে চেলসিটে অবিবাহিতদের জন্য বানানো ৪০ লাখ পাউন্ডের একটি গোপন বাসায় অবস্থান করছেন। এ খবর প্রকাশ হওয়ার কারণে নাইজেল ফারাজে রোববার তার স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে কেন্টের বাসায় ফেরেন। এখানে থাকেন তার জার্মান স্ত্রী কিরস্টেন। সেখানে ফারাজেকে দেখা যায় তার গাড়িতে করে নামছেন।  কিন্তু এ বাসায়ই তার স্ত্রী কারস্টেনের হাত ভালভাবে পরখ করে দেখা গেছে তার হাতে বিয়ের আংটি নেই। এরপরই গুঞ্জন জোরালো হয়। তাহলে কি সত্যি ভেঙ্গে যাচ্ছে ফারাজে-কিরস্টেনের সংসার! উল্লেখ্য, গত সপ্তায় ওয়েস্ট লন্ডনের একটি আপ মার্কেটে ৫২ বছর বয়সী নাইজেল ফারাজেকে দেখা গেছে লঁরা ফেরারির সঙ্গে। নাইজেলের চেয়ে তিনি ১৫ বছরের ছোট। গত শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তো রোববার যখন নাইজেল ফারাজে তার বাসায় প্রবেশ করেন তার কিছু সময় পরেই দেখা যায় সেই বাসা থেকে বেরিয়ে আসছেন কিরস্টেন (৫০)। তার মুখ কাঠের মতো হয়ে আছে। তিনি বেরিয়ে একটি গাড়িতে চড়েন। তারপর তা চালিয়ে চলে যান। রোববার রাতে নাইজেল ফারাজে স্বীকার করেন যে, তিনি চেলসির আলাদা বাড়িতে মিস ফেরারির সঙ্গে বসবাস করছেন। তবে তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি ফেরারিকে ভালভাবে চেনেন ও জানেন। ফেরারির সঙ্গে সঙ্গ দেয়ার মতো কেউ নেই। তাই তিনি তার সহায়তা করছেন। উল্লেখ্য, প্রায় এক যুগ আগে লঁরা ফেরারির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত হয় নাইজেল ফারাজের। তখন ফেরারি ছিলেন একজন ওয়েটার। তাকে সেখান থেকে ইউরোপিয় পার্লামেন্টে একটি কাজ দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি একটি থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানের প্রধান। এ সংগঠন নিয়ম ভঙ্গ করে ইউকিপ রাজনৈতিক সংগঠনে অর্থ সরবরাহ করেছিল, যখন ফারাজে এর নেতা ছিলেন। ওই সংগঠন থেকে দান হিসেবে ইউকিপ তখন মোট চার লাখ পাউন্ড পেয়েছিল। এ নিয়ে ইউকিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইলেক্টোরাল কমিশন। নাইজেল ফারাজে বলেছেন, তিনি স্বল্প সময়ের জন্য ফেরারিকে সঙ্গ দিচ্ছেন। কারণ, তার আর যাওয়ার জায়গা নেই এবং তার অর্থের প্রয়োজন। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, আপনি কি তার সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হয়েছেন কিনা? জবাবে ফারাজে বলেন, এমন হাস্যকর প্রশ্নে উত্তর দেবো না আমি। যেমন আপনি কি কখনো তার হাত ধরেছেন। কখনো তার সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন।

Leave a Reply