হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জগন্নাথপুর মহল্লায় কথিত পাঁচপীর মাজারের (কৃত্রিম কবর) উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া পৌরপরিষদ ও এলাকাবাসীকে নিয়ে কথিত পাঁচপীর মাজার উচ্ছেদ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একশ্রেণীর লোকজন দীর্ঘদিন যাবত পাঁচপীর নামে কৃত্রিম কবর তৈরী করে প্রতি বছর ওরস পালন করে আসছে। এতে এলাকার সামাজিক পরিবেশ দিনদিন নষ্ট হচ্ছে। পৌরপরিষদ ও এলাকার সচেতন মহল খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন এখানে কোনো পীরের মাজার নেই। তাই পৌর পরিষদ ঈমানী দায়িত্বের অংশ হিসেবে কথিত পাঁচপীরের করব উচ্ছেদ করেন। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর সভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একশ্রেণীর লোকজন পাঁচপীর নামে কৃত্রিম কবর তৈরী করে ওরসের নামে গান-বাজনা করে আসছে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. ছালেক মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে এলাকার প্রবীণ মুরুব্বীদের বরাত দিয়ে বলেন, তখনকার সময়ে ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত শাহজালাল (রহ.) সফর সঙ্গী হিসেবে ৫ জন ওলি ইসলাম প্রচারে বের হয়ে এখানে (জগন্নাতপুর) বিশ্রাম নিয়েছিলেন। পরে তারা চলে যান। তারপর থেকে একশ্রেণীর লোকজন এবিষয়টি ব্যবহার করে পাঁচপীরের নামে কৃত্রিম মাজার বানিয়ে প্রতিবছর ওরসের নামে অশ্লীল গান বাজনা করে। তার পরিবর্তে এখন এই জায়গায় খানকা শরীফ স্থাপন করে দেওয়া হবে। যাতে এই জায়গায় জিকির-আজগার করা যায়। পৌর মেয়র আরো জানান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার যত মাজার আছে, কোথাও আর কোন ধরনের গান-বাজনার অনুমতি দেওয়া হবে না।