Wednesday, April 24

অবশেষে ধর্ষক নাঈম আশরাফ নিয়ে মুখ খুললেন মৌসুমী !

বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। বিষয়টি নিয়ে বেশ সোচ্চার শোবিজ অঙ্গন তারকারাও। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ।

গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফের সঙ্গে মৌসুমীর একটি সেলফি অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

 

নাঈম আশরাফের সাথে সেলফী সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌসুমী বিডি২৪লাইভ বললেন, ‘ আমি বেশ কয়েক দিন দেখছি আমার এই বিষয়টা নিয়ে সবাই নাড়ানাচা করছে। আমার সাথে একজনের ছবি থাকতেই পারে তার মানে তো এমন না যে আমার সাথে তার কোন সম্পর্ক থাকবে। আর নাঈম আশরাফের সঙ্গে ওই একবারই আমার দেখা হয়েছে। এর আগে অরিজিত সিং ও নেহা কাক্করের কনসার্টে পারফরম করার জন্য আমাকে সে বলেছিল। তবে যে কোনো কারণ বশত আমি কাজটি করিনি। সেসব নিয়ে আপাতত কিছু বলতে চাই না।’

 

অন্যদিকে ১৮ই মে মৌসুমী হামিদ তার নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, “আমরা যারা মিডিয়াতে কাজ করি ,প্রতিনিয়ত আমাদের অনেক কাজের জন্য অনেকে কল দেয় কথা বলে …দেখা যায় সব কাজ হয় না কিন্তু পরিচয় হয় ….২য় বার কাজের জন্য একি মানুষ যদি কল দেয় বা দেখা করতে আসে তখন যদি সে একটা ছবি তুলতে চায় তখন কি না করা যায় । রেপিস্ট এর কপালে কি লেখা থাকে ও রেপিস্ট ? আর যেই মানুষ কে আবার অনেকে চেনে ও…মিডিয়ার মানুষ দের নিয়েই তার কাজ ।।। তখন ক্যামনে বুঝবে যে সে একটা রেপিস্ট ,,,, আর এই ছবি গুলো যারা প্রান পনে ভাইরাল করার চেষ্টা করছে তাতে কি কারো দোষ ঢাকা পড়বে….? যাই হোক আশার কথা আসামি ধরা পড়ছে ।।। এখন কি বিচার হয় দেখা যাক । পুলিশ চাইলে সব পারে …. #no_rape”

উল্লেখ্য, দুই তরুণীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন (২৭)। বিল্লালকে গ্রেফতারের পর সোমবার রাতে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর কারওয়ান বাজারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রাতভর ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি দুই ধর্ষক সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম আবদুল হালিম)। ধর্ষণের পর গর্ভধারণ রোধে দুই তরুণীকে সেদিন জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি খাওয়ায় তারা।

ধর্ষিত দুই তরুণীর এক চিকিৎসক বন্ধু সেই বড়ি খাওয়ার জন্য নিষেধ করে। এ কারণে সেই বন্ধুকে মারধর করে ইয়াবা খেতে বলে। পরে সেই ইয়াবা খাওয়ার ভিডিও ধারণ করে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল। তারপর সাফাত ও নাঈম বলে, ‘এই ঘটনা যদি কাউকে বলিস, তবে ইয়াবার মামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেব। তোদের ইয়াবাখোর বানিয়ে দেব।’

জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি খাওয়ানোর পরও দুই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। যে দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম ধর্ষণ করে তার মাঝখানে একটি ফলস পার্টিশন ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে বিল্লাল ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে।

Leave a Reply