Friday, March 29

ভৈরব থানায় এস.পি’ র লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এস.আই মতিউর রহমান

ভৈরব প্রতিনিধি।।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় কর্মরত এস.আই মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সিভিলটিমের নামে মানুষকে আটক করে অর্থ আদায়। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসিক মাসোয়ারা আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন  জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায়  সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। এ ব্যাপারে গত ৩০ নভেম্বর সিভিলটিমের হোতাসহ ৬ এস.আইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শফিকুল ইসলাম ভৈরব আসেন। এ সময় তিনি জাতীয় পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অর্ধ শত সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন। সকলে এস.আই মতিউরসহ সিভিলটিমে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। তিনি মতিউরের নানা অনিয়মের খবর শুনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসীসহ সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।খোজ নিয়ে জানাগেছে, ভৈরব থানায় কর্মরত এস.আই মতিউর তিন মাস পূর্বে ভৈরব থানায় নতুন করে যোগদান করেন। তিনি এসেই এস.পির লোক বলে প্রচার করে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসোয়ারা করেন। পরে সিভিল টিম ঘটন করে শহরে চষে বেড়ান। যখন যাকে খুশি ধরেন আর লক্ষ  লক্ষ  টাকা আদায় করেন। না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান।গত ২৭ নভেম্বর ভৈরব দূর্জয় মোড় এলাকা থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা পেলেও জব্দ দেখান ৭ শত পিস। পুরো ইয়াবা চালানই গায়েব করে দেন।এদিকে এস.আই মতিউরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি সাংবাদিকদের  মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় সাংবাদিকরা এ বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অপকর্মের হোতা এস.আই মতিউর’সহ সিভিল টিমের আরও একাধিকজন’কে রবিবার ঢাকা র‍্যাঞ্জের ডিআইজি বিশেষ তলব করেছেন। এখন দেখার বিষয় এস.আই মতিউর এর বিরুদ্ধে এত এত অপকর্মের অভিযোগ পাওয়ার পরও কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। তবে এলাকা বাসীর অভিযোগ এস.আই মতিউরের পেছন থেকে পুলিশের কোন বড় কর্মকর্তা তাকে সেল্টার দিচ্ছে, তা সাংবাদিক মহলের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে ভৈরবের সাংবাদিক মহলের বরাতে জানা যায়, তারা খুব শীঘ্রহি অপকর্মের রাজা এস.আই মতিউর এবং তাকে যে পেছন থেকে সেল্টার দিচ্ছে সেই অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধেও সংবাদ পরিবেশন করবেন। কারণ জনসাধারণ এর মনে প্রশ্ন জাগছে, এস.আই মতিউরের খুটির জোর  কি এস.পির সাথে স্বজনপ্রীতি ? যদি এরুপ হয় তাহলে ভৈরবের অর্ধশত সাংবাদিক নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করার কথা ভাবছেন বলে জানা যায়।এস.আই মতিউরসহ সিভিল টিমের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপার শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার ছুটিতে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে সিভিল টিমের বিষয়ে সংবাদ ছাপার বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার আনোয়ার সাহেবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোনে আমাদের জানান- সিভিল টিমের  বিষয়ে তিনি অবগত আছেন এবং ভৈরবে ছিনতাইকারীর সংখ্যা বেশি বলে পুলিশি পোশাক পড়ে ছিনতাইকারী ধরতে পারে না বলে সিভিল ড্রেসেই পুলিশি অভিযান করে অপরাধীদের ধরতে সুবিধা হয় বলে তিনি জানান। এ কথা বলার পর লাইনটি কেটে গেলে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনকল গুলো আর রিসিভ করেননি।
পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে জানা যায় পুলিশ তার পুলিশি পোশাক ছাড়া সিভিল বেশে কোন ধরনের কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালনা  করতে পারবে না। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায় সিভিল টিম নিয়ে পুলিশের কার্যক্রম নিয়মবহির্ভূত, নিষিদ্ধ ও অবৈধ। তাই এখন দেখার বিষয় ভৈরব থানায় সিভিল টিম বানিজ্য অপকর্মের মূল হোতা এস. আই মতিউর এবং তার সেল্টার দাতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন কি পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেয়।

Leave a Reply