Sunday, April 21

খালেদাকে নিয়ে আসিফের গান…।(দেখুন গানটি)

ইয়েমেনে সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট সরকার বসাতে যে যুদ্ধ চলছে,
তাতে সফলতা না আসা কিংবা ক্রাউন প্রিন্স শিগগিরই দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি নিজের হাতে নিতে যাচ্ছেন, এমন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কি দেশটির সেনাবাহিনীতে রদবদল হলো। ধারাবাহিক সংস্কারের অংশ হিসেবে নারীদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এসব নাটকীয় পরিবর্তন আনা হচ্ছে ক্রাউন প্রিন্সকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে। তবে সেনাবাহিনীতে রদবদলের কোনো জুতসই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি সৌদি শাসকেরা। আন্তর্জাতিকভাবে সৌদি সেনাবাহিনীর আরো ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণের ইঙ্গিত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি ইতোমধ্যে সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড হায়কেল মনে করছেন, সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবেই রদবদল শুরু করেছেন সৌদি শাসকেরা। ইয়েমেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সৌদি শাসকেরা বুঝতে পারছেন, তাদের সেনাবাহিনীতে দুর্বলতা রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছ থেকে সর্বাধুনিক অস্ত্র কিনতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে সৌদি আরব। অথচ এসব অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষতার দিক থেকে সৌদি সেনাবাহিনীর বিশাল ঘাটতি রয়েছে। এমন সীমাবদ্ধতায় এক ধরনের হতাশা থেকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স চাচ্ছেন তার দেশেই অস্ত্র উৎপাদন হোক।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন,
ক্যান্সার রোগীর যেমন কেমো প্রয়োজন, তেমনি সৌদি আরবে দুর্নীতি রোধে শক থেরাপি দরকার। তিনি সৌদি আরবে এমন একটি মানব শরীরের সাথে তুলনা করেন, যার সর্বত্রই ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তা রোধে কেমোর মতো শক থেরাপি প্রয়োজন। উদ্যমশীল মানুষকেই তিনি সৌদি আরবের ক্ষমতায় দেখতে চান এবং যাতে আধুনিক সৌদি আরবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। এমনকি শুধু অস্ত্র না কিনে তা যতটা সম্ভব সৌদি আরবে উৎপাদন করলে প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে দেশটি ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে কোটি কোটি ডলারের পরমাণু জ্বালানি চুক্তি করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এসব লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে রদবদল ও সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। মিসর, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এসব বিষয় নিয়ে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন। ওয়াশিংটন ভিত্তিক পরামর্শক গ্রুপের বিশ্লেষক থিয়েডোর কারাসিক একই অভিমত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা সজ্জা ছাড়াও ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের অস্ত্রসজ্জার অংশ হিসেবেই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরো দক্ষ ও কার্যকর করে তুলতে এ ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। পরিবর্তনের এক বিরাট ক্ষুধা সৌদি প্রজন্মে যুগ যুগ ধরে রয়ে গেছে, তা এখন মেটানো অপরিহার্য এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে না পারলে কোনো পরিবর্তনই সৌদি আরবে টেকসই হবে না এ হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অনেকে।

ক্রাউন প্রিন্স অধিক কর্মসংস্থান, বিনোদন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ধর্মীয় ও পুলিশের অতিরিক্ত কঠোর মনোভাব হ্রাসসহ ব্যবসায় বাণিজ্যের নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন। সম্ভবত তিনি সৌদি তরুণ প্রজন্মের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করার চেষ্টা করছেন।

Leave a Reply