শ্রীলঙ্কাকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও দুর্দান্ত শুরু করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি তারা জিতলো ১৯ রানে। সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্টস পার্কে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি। বৃষ্টি থামার পর খেলা ১০ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। টস জিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আর ব্যাটে ঝড় তোলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ৫ উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ১২৬ রান। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তুলতে পারে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে নিরোশান ডিকওয়েলা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা মাত্র ৫.১ ওভারে ৫৯ রান তুলে ফেলেন। তখন তারা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। ডিকওয়েল ২ ছক্কা ও ৬ চারে ১৯ বলে করেন ৪৩ রান। আর ডি সিলভা ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৬ বলে করেন ২৭ রান। এ দু’জনকে একই ওভারে ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার ইমরান তাহির। শ্রীলঙ্কার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসমস্যান এমন ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে দিলেও পরের ব্যাটসম্যানরা সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। সেকুগে প্রসন্ন ৩ বলে ১২ রান করলেও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয় ব্যাটে ঝড় তোলেন ‘কিলার মিলার’ খ্যাত ডেভিড মিলার ও নতুন অধিনায়ক ফারহান বেহারদিন। চতুর্থ উইকেটে তারা মাত্র ৩.৫ ওভারে যোগ করেন ৫১ রান। ওভারপ্রতি নেন ১৩.৩০ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে মাত্র ১৮ বলে ৪০ রান করেন মিলার। আর নয়া অধিনায়ক বেহারদিন ১ ছক্কা ও ৩ চারে ১৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ৫ খেলোয়াড়ের। এরমধ্যে থিউনিস ডি ব্রুইনা ১ ছক্কা ও ২ চারে ১০ বলে করেন ১৯ রান। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ জোহানেসবার্গে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১২৬/৫ (ডি ব্রুইন ১৯, মিলার ৪০, বেহার্ডিন ৩১*, কুলাসেকারা ২/২৭, লাকমল ১/১৮, প্রসন্ন ১/১৪)
শ্রীলঙ্কা: ১০৭/৬ (ডিকওয়েলা ৪৩, ডি সিলভা ২৭, প্রসন্ন ১২, গুনারত্নে ১০*, লুঙ্গি ২/১২, পারনেল ১/২৩, তাহির ২/২৩, ফাঙ্গিসো ১/২৪)
টস: শ্রীলঙ্কা (ফিল্ডিং)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: লুঙ্গি এনগিদি
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে দ. আফ্রিকা ১-০ এগিয়ে।