Friday, March 22

স্বাস্থ্য কাঁচামরিচের ঔষধি গুনাগুণ – সবাই তো খাচ্ছি কিন্তু এই গুন গুলো কি আগে জানতাম?

কাঁচামরিচের ঔষধি গুনাগুণ –

কাঁচামরিচ ঝাল হওয়ার কারণে আমরা অনেকই দূরে থাকি আবার কাঁচামরিচ ছাড়া একদমেই চলে না অনেকর। সব ধরনের তরকারীতে একটি প্রয়োজনীয় মসলার স্বাদ বাড়ায়। রান্না, স্যালাড,পাকোড়া, ভাজাভুজি বা খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ চাই।

একটি কাঁচা মরিচে আছে ১০৯.১৩ মিলিগ্রাম (১৮২%) ভিটামিন সি। একই ভাবে লাল মরিচে প্রতিটিতে থাকে ৬৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি (১০৮%)। প্রতি ১০০ গ্রাম সার্ভিং পরিমাণের মধ্যে থাকে ৪০ খাদ্যশক্তি। চর্বি, কোলেস্টেরল সোডিয়ামের পরিমাণ থাকে শূন্য শতাংশ। শর্করা ৩%, খাদ্য অাঁশ ৬%, ভিটামিন এ ২৪%, ভিটামিন সি ৪০৪%, ক্যালসিয়াম ২%, আয়রণ ৭%, ভিটামিন ই ৩%, ভিটামিন কে ১৮%, থায়ামিন ৬%, রায়বোফ্লভিন ৫%, নিয়াসিন ৫%, প্যান্টোথেনিক এসিড ৫%, ভিটামিন বি-৬ ১৪%, ফলিক এসিড ৬%, পটাশিয়াম ১০% এবং মাঙ্গানিজ ১২% ইত্যাদি।

আঙ্গুর, নাশপাতি, আপেলের মত বিদেশী ফল অপেক্ষা একটা ছোট্ট কাঁচা মরিচ হতে পারে আপনার সুস্বাস্থ্যের সঙ্গী। আর একটি মিডিয়াম আপেলের ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি পরিমাণ টুকরায় থাকে মাত্র ৮ মিলিগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন সি। স্বাদে, গন্ধে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর কাঁচামরিচ। কাঁচা মরিচের বিশেষ উপাদান হচ্ছে ক্যাপসাইকিন। কাঁচামরিচের বেশ অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দেখে নিন কাঁচা মরিচের গুনাগুণ।

হজমের জন্য উপকারী: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ আছে, যা চোখ ও ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ভিটামিন-এ ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়,

দৃষ্টিশক্তি সজাগে: দৃষ্টিশক্তি সজাগ রাখতে সাহায্য করে। হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতেও সহায়তা করে।

আরও দেখুনঃ

তোকমা নিয়মিত পান করলে কি হয় জানলে প্রতিদিনই খাবেন

রক্তে ফ্রি রেডিক্যালসের নিয়ন্ত্রণে: রক্তে ফ্রি রেডিক্যালসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে করে কাঁচামরিচ। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। বিটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে।

ভিটামিন শোষণে সাহায্য: কাঁচামরিচ ভিটামিন সিতে ভরপুর। যা শরীরে অন্যান্য ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার রুখতেও সাহায্য করে। কাঁচামরিচে থাকা ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

জীবাণু সংক্রমণ সাহায্য: কাঁচামরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল শরীরে জীবাণু সংক্রমণ রুখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ত্বকের সংক্রমণে এটি বেশ কার্যকরী।

আয়রণ: কাঁচা ঝালে আছে পযাপ্ত পরিমাণে আয়রণ। যারা আয়রণের অভাবে ভোগেন তারা কাঁচামরিচ খেতে পারেন।

ওজন কমাতে: ক্যালোরি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু কাঁচামরিচে কোন ক্যালোরি নেই। যারা ওজন কমাতে চান বা ডায়েটে আছেন তারা নিশ্চিন্তে কাঁচামরিচ খেতে পারেন।

পারদ ওঠা নামা: কিছু মানুষ একটা সমস্যায় ভোগেন তার তাহল মেজাজের পারদ ওঠা নামা। গবেষকেরা বলেন, কাঁচামরিচ মস্তিষ্কে এডরফিনস পাঠায় যা ঊৎফুল্ল করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর সুখীবোধ করলে একে কাকতালীয় ভাববেন না।

Leave a Reply