
সম্পাদনায়, আরজে সাইমুর রহমান: ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ দিনটিকে বিশ্ব ব্যাপী ভালবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধ-বান্ধব, স্বামী-স্ত্রী, মা-সন্তান, ছাত্র-শিক্ষক সহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষেরা এই দিনে একে অন্যকে তাদের ভালবাসা জানায়। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে এই দিনটিকে খুবই ঘটা করে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। ভালবাসা দিবসের এই দিনে প্রিয়জনকে সবাই ফুল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে থাকে।
আর বিনোদন ভূবনের মানুষেরা এই বিশেষ দিনটাকে উপলক্ষ্য করে শর্ট ফিল্ম, নাটক, মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে থাকে। আর এই ধারাবাহিকতায় বরাবরের ন্যায় শেখ সাদী’র এই ভালবাসা দিবসের নিবেদন “ভালবাসার গল্প”। যাহের আলভী ও আদিবা ইভাকে প্রথম বারের মত এক ফ্রেমে বন্দী করেছেন তিনি।
যাহের আলভী এই শর্ট ফিল্মে কাজ করা প্রসঙ্গে বলেন, রুচিশীল কাজে সবার একটা আগ্রহ থাকে। আর তাই শেখ সাদী’র এবারের গল্পের ভিন্নতা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর যেহেতু সাদী’র সাথে প্রথম কাজ সেক্ষেত্রে বলা যায় অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিল। ইনশাআল্লাহ আমাদের কাজ সবার ভালো লাগবে।
আদিবা ইভা জানান, শেখ সাদী’র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ আমি কখনোই মিস করতে চাই না, আর তাই গল্প শোনার পর এক বাক্যে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। আর তারপর অনেক মজা করে আমরা শূটিং করেছি। আলভী ভাইয়া অনেক সাপোর্টিভ। সো তার সাথেও কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। সব মিলিয়ে ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি।
পরিচালক জানান, সাধারন একটা ভালবাসার গল্প এবারের ভালবাসা দিবসের নিবেদন হিসাবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এসকেবি হাউজের ইউটিউব চ্যানেলে “ভালবাসার গল্প” মুক্তি পাবে । আমাদের এবারের গল্পে সবাই নিজেদের বাস্তব জীবনের ভালবাসার একটা প্রতিচ্ছবি পাবেন।
=======================
আরো পড়ুন
=====================
প্রিয়জনের মন জয় করার উপায়
মানুষের মন জয় করা অত সহজ কাজ নয়। আপনি যত ভাল মানুষই হোন বা যত দান-খয়রাতিই করুন কেন মানুষের মন জয় করা চারটিখানি কথা নয়। কিন্তু কিছু সহজ উপায় নিলে মানুষের মন জয় করার অনেক কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। এমন সহজ উপায়গুলো দেখে নেওয়া যাক।
কথা শুনুন মন দিয়ে বা ভালো শ্রোতা হোন: আপনার সঙ্গে যখন সে কথা বলছে তার কথা মন দিয়ে শুনুন। কারও মনে জায়গা পাওয়ার সেরা উপায় হল ভাল শ্রোতা হওয়া। কথা শুনে প্রয়োজন হলে প্রশ্ন করুন। ভাল লাগলে প্রশংসা করুন। পুরো কথাটা শুনে তারপর মন্তব্য করুন।
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন: চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। এতে কথার গুরুত্ব বাড়ে। শ্রোতার মনোযোগ বাড়ে। কোনো সভা বা মিটিংয়ে কথা বলার সময় একে একে সবার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন।
কথা শোনার সময় অন্য কোন কাজ করবেন না: আপনি যখন কথা শুনছেন, তখন অন্য কাজ করবেন না। এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, অন্তত ৬৫ শতাংশ মানুষ কথা শোনার সময় মোবাইল বা ট্যাবের ব্যবহার করেন। কথা শোনার সময় অন্য কাজ করলে সামনের মানুষটার অবচেতন মনে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হয়।
কথায় ছোট ছোট পরিবর্তন আনুন: কথায় ছোটখাটো পরিবর্তন বড় বদল আনে। ধরুন সামনের মানুষটা আপনাকে যে কথাটা বলল সেটা আপনার জানা কথা। তখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই বলবেন, আমি জানি। কিন্তু আপনি যদি সত্যি তার মনে জায়গা করতে চান তাহলে ওই কথাটা না বলে, বলুন তুমি একদম ঠিক বলেছ। দেখবেন এই ছোট পরিবর্তন আপনাকে সামনের মানুষটার মনে জায়গা করে দেবে।
মন থেকে প্রশংসা করুন: কাউকে প্রশংসা করার সময় মন থেকেই করুন। কারণ একটু এদিক ওদিক হলেই প্রশংসাটা তোষামোদ হয়ে যায়।
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা শরীরী ভাষায় পরিবর্তন আনুন: বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা শরীরী ভাষা একটা মানুষকে অনেক উপরে বা নিচে উঠিয়ে/নামিয়ে দিতে পারে। কারও সঙ্গে যখন কথা বলবেন তখন নিজের পা-হাতের দিকে খেয়াল রাখুন। ধরুন আড্ডার সময় হাত-পা নেড়ে কথা বললে আড্ডা জমে। আবার প্রেমের সময় চোখের ওঠা নামাই সব কাজ করে দেয়। মোট কথা হল শরীরী ভাষাটাকে ইতিবাচক রাখুন দেখবেন লোকের মন জেতার কাজটা সহজ হবে।