Wednesday, December 17

বিসিএলই সাফল্যের মূলমন্ত্র নাঈমের

টানা ৩২ ওভারের স্পেল। মাত্র ১৯ বছর বয়সী উদীয়মান এই অফ-স্পিনার একাই ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোড়। দিনের বেশিরভাগ সময়েই টাইগার বোলারদের শাসন করে জিম্বাবুয়ে।চারজন বোলার নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই পেসার আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন আর দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর নাঈম হাসান। এছাড়া বাড়তি কোনো অপশনও নেই মুমিনুলের হাতে।চারজন মিলেই শেষ করেছেন ৯০ ওভার। যেখানে নাঈম একাই করেছেন ৩৬ ওভার! প্রথমে চার ওভারের স্পেল শেষে টানা করেন ৩২ ওভার।এই ৩২ ওভারেই তুলে নেন মূল্যবান চার উইকেট। ৬৪ রান করা ওপেনার প্রিন্স মাসভ্যুরে, ১০ রানে ব্রেন্ডন টেইলর, ১৮ রানে সিকান্দার রাজার পর ১০৭ রান করা ক্রেইগ আরভিনকে।স্বাগতিক বোলারদের উপর দিনভর শাসন করা জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে দিনটা বাংলাদেশের করেন দেন তরুণ নাঈম।দিন শেষে জানালেন সাফল্যের মন্ত্রটা বিসিএল। চলতি মৌসুমে মাত্র দুই ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। চেন্টার জোনের বিপক্ষে ৬, ২ আর নর্থ জোনের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫, ৮ উইকেট। বিসিএলেও করেছেন লম্বা স্পেলের বোলিং। টানা ৩২ ওভারের স্পেলটা তাই গায়ে লাগেনি নাঈমের।‘বিসিএল হেল্প তো করবে। অভ্যাসটা আমার ন্যাশনাল লিগ থেকেই আছে। কারণ, ওখানেও লম্বা স্পেল বোলিং করেছি। লম্বা সময় ধরে একটা জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি সবসময়।’মুমিনুলের হাতে চার বোলারের বেশি কোনো অপশন ছিল না। দলে নেই পার্টটাইম বোলারও। তাই দায়িত্বটা নিতে হয়েছে নাঈমকে।‘যখন বলটা হাতে নেই তখনই আমার দায়িত্ব হলো বোলিং করা। সিচুয়েশন যেটাই আসুক। সাকিব ভাই থাকলে আরো ভালো হতো। এখন আমাদের দুজনের (তাইজুল) ওপর। প্রেশার বলতে কিছু নেই। বল হাতে নেয়ার পর তো দায়িত্বটা আমার।’

Leave a Reply