
সাংস্কৃতিক লীগের শোক
চলে গেলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন,,,,
শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ বর্ষীয়ান নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর স্ট্রোক করেন তিনি। তার মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের অবদান স্মরণ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাংস্কৃতিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামি সাংস্কৃতিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাবিসাস সভাপতি আবুল হোসেন মজুমদার। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামি সাংস্কৃতিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, সাংস্কৃতিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক ও এজেএফবি’র সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য প্রযুক্তির সম্পাদক ও বাবিসাস এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আরজে সাইমুর রহমান মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
#১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। সিরাজগঞ্জ থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বও সামলে এসেছেন তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয় তাকে। এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
*************
আরও পড়ুন
**************
জোনভিত্তিক লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক বিশেষ নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সারাদেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনও এলাকায় যদি অধিক সংক্রমণ হয় সেই ক্ষেত্রে ওই এলাকাকে যদি স্পেশালি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যায় সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন গতকালই। প্রশাসনিকভাবেই সেটি করে ফেলা যাবে।
তিনি আরও জানান, আমাদের যে সংক্রামক ব্যাধি আইন আছে, এটা সেই আইনের মধ্যে দেয়া আছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদিত।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লাল হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করতে যেভাবে আইসিটি বিভাগ পদক্ষেপ নিয়েছে সেটির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, এটা সারা পৃথিবীতে করা হচ্ছে। এটাতে সুবিধা আছে। রেড জোন ঘোষণা করা সবার জন্যই ভালো, কারণ সবাই তখন সতর্ক হতে পারবে।
*************
আরও পড়ুন
**************
করোনাভাইরাস: সংসদের ৪৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত
সংসদ সচিবালয়ের ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।আসন্ন বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে প্রায় ৪৫০ জনের করোনা পরীক্ষার পর সোমবার পর্যন্ত ৪৩ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।
তবে এদের অধিকাংশেরই তেমন কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ। তিনি জানান, আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
সংসদ মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আরিফুল হক জানান, সংসদের ৪৩ কর্মকর্তার শরীরে আমরা করোনা পজিটিভ পেয়েছি। এর মধ্যে আজ সোমবার ১১ জনের শরীরে, গতকাল রোববার ১৬ জনের শরীরে এবং শনিবার চারজনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়।
জানা গেছে, আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন। পরদিন বাজেট উত্থাপন হবে, পাস হবে ৩০ জুন। করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে এসএসএফের সুপারিশে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়।
এর আগে বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদে দায়িত্বরত প্রায় ৪৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমুনা পরীক্ষা ২ জুন থেকে শুরু হয়েছিল। সোমবার তা শেষ হয়েছে।
