
চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চিত্রনায়িকা নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদও স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালতের এই আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জায়েদ খান জানিয়েছেন, তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জায়েদ খান জানালেন, নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালীন তাকে মার্ডারের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
আদালতের আদেশের শেষে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেন, আমি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। নিপুণের সব অভিযোগ অবৈধ ও মনগড়া। নির্বাচনের শুরুতেই আমাকে মার্ডারের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে অবৈধভাবে। সেটাও তাদের একটা কৌশল ছিল। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে সেখানে। শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে আমার পথ রোধ করার চেষ্টা করেছে তারা। আমি পর পর দুইবার শিল্পীদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত। তৃতীয়বারও আমি দশটি পদে জিতেছি। তারা এগারোটিতে। ২৯ তারিখে তাদের দাবিতে আমাদের সবার উপস্থিতিতে ব্যালট পুর্নগণনা হলো। সেখানেও আমার জয় নিশ্চিত হয়েছে। চূড়ান্তভাবে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আমাদের তফসিল অনুযায়ী ৩০ তারিখে চূড়ান্ত ঘোষণা পর নির্বাচন কমিশন অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর তারা নিজেরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যেটা সংবিধান ও তফসিলে কোথাও উল্লেখ নাই। এরপর আমাকে কোনো নোটিশ করেন নাই সোহান ভাই। উনি নিজে নিজেই নিপুণকে নিয়ে একটা মিটিং ডেকে বিচারক হয়েও নিপুণকে হাত ধরে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জায়েদ খান বলেন, আমি নাকি ২ হাজার টাকায় ভোট কিনেছি। মাত্র ২ হাজার টাকায় কোনো শিল্পীর ভোট কেনা যায়! এ অভিযোগ তুলে নিপুণ সমস্ত শিল্পীকে অপমান করেছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
দুপুরেই তার পক্ষে আদেশ আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জায়েদ খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী জানান, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন বিজ্ঞ আদালত। নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদও স্থগিত করা হয়েছে।
