
নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে মো. মিরাজ বাকার নামের এক বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন। এ সময় বর মিরাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারে তার তিনজন আত্মীয় ছিলেন।
উৎসুক কয়েকশত গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে গাড়িতে আসেন।
জানা গেছে, কিছুদিন আগেই মাদারীপুর সদর উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে লন্ডন প্রবাসী মো. মিরাজ বাকারের সঙ্গে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন কবির মিল্টন ভূঁইয়ার মেয়ে লামিয়া কবির মিমের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ছিল মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে করে মিরাজ বাকার তিনজন আত্মীয় নিয়ে মেয়ের বাড়ি ইতনা গ্রামের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নামেন। অন্য বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে চড়ে আসেন। এই প্রথম লোহাগড়ায় কোনো বর হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসায় ওই এলাকার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ লোক বরযাত্রী ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন। এ সময় জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
হুমায়ুন কবির মিল্টন বলেন, তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে লামিয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এ বিয়েতে বর পক্ষের ২০০ যাত্রীসহ ৫০০ লোক এসেছে। তিনি এলাকার কয়েকশ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এ বিয়েতে দাওয়াত করেছেন। বিয়ে শেষে বিকালে হেলিকপ্টারে করে তার মেয়েকে মাদারীপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন মিরাজ।
এ ব্যাপারে বর মিরাজ বাকার বলেন, বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসা। এখন তার খুব আনন্দ লাগছে।
মেয়ের চাচা মশিউর রহমান মিলন ও আলী আজগর মিন্টু জানান, সবার ছোট ভাইয়ের মেয়েকে আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থেকে ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। লোহাগড়ার মধ্যে এই প্রথম হেলিকপ্টারে করে আমাদের মেয়ে মিমকে বরপক্ষ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়াতে আনন্দ লাগছে।
