Saturday, April 20

টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

50382_asসিরিজের শেষ টেস্টে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউজিল্যান্ড। এর আগে এই সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে তামিম বাহিনী। ৯ম উইকেটে দুই পেসার তাসকিন ও কামরুলের মান বাঁচানো জুটিতে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ছিল। কিন্তু মাত্র ১৮.৪ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় কিউইরা। টম ল্যাথাম ৪১ ও ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অথচ এই উইকেটে একই দিন ১৭৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
১১৫ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তাকে নিয়ে দলে হাল ধরেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ধীরে ধীরে কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। টাইগারদের ব্যাটিং মেরুদন্ড গুড়িয়ে দেয়ার পর এমন প্রতিরোধ আশাই করেননি তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের জুটি ছিল সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪১ রানের। কিন্তু দুই পেসার টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ছাড়িয়ে গেলেন। গড়লেন ৯ম উইকেটে ৫১ রানের জুটি। সেই সঙ্গে দলকে বাঁচালেন নিশ্চিত লজ্জার হাত থেকে। তাদের ব্যাটিংয়ে লজ্জা থেকে বাঁচলেও এই টেস্টে হার যেন নিশ্চিত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাসকিন ৩৩ রানে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত কামরুল অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। এই দু’জনের সাহসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ৫২.৫ ওভারে সবকটি উইকেট জারিয়ে ১৭৩ রান। সেই সুবাদে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র ১০৯ রানের।
ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে ১০০ রান উঠতেই হারিয়েছে ৭ উইকেট। এর আগে তামিম ইকবাল বাহিনীর প্রথম ইনিংসে করা ২৮৯ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৩৫৪ রান। দ্বিতীয় দিন ২৬০ রান করে তারা হারিয়েছিল ৭ উইকেট। তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়াতে চতুর্থ ব্যাট করতে নামে ছিল চাপে থাকা কিউইরা। কিন্তু ব্যাট হাতে নেমে সেই চাপ উড়িয়ে দিয়ে নিকলসের ৯৮ রানে টাইগারদের টপকে ৬৫ রানের লিড নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান বলেছিলেন, দুই দিনে অনেক কিছুই সম্ভব। কিন্তু নিজেদের বাজে ব্যাটিংয়ে সেই সম্ভবকে অসম্ভব করে দিয়েছে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানরা। পিছিয়ে থেকে থেকে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানের সময় ৮ রান করে আউট হন অধিনায়ক তামিম। এরপর সৌম্য ৩৬, সহ অধিনায়ক সাকিব ৮, মাহমুদুল্লাহ ৩৮, সাব্বির রহমান ও নূরুল হাসান ০ রান করে আউট হলে গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২ রান করে আউট হন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। লম্বা সময় ধরে তিনি চেষ্টা করলেও কেউ থাকে সঙ্গ দিতে পারেনি। এরপর তাসকিন ও মিরাজ মিলে কিছুটা চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মাত্র ৪ রানের অবদান রেখে আউট হন মিরাজও।
৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের লিড মাত্র ৫০ রানের, হাতে আছে শেষ দুই উইকেট। দলের হাল ধরেছিলেন তাসকিন ও কামরুল ইসলাম।

Leave a Reply