ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গিকার করেছে দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড সেনাবাহিনী।
রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) হামলার বিষয়ে ইরানিয়ান এই এলিট বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অদূর ভবিষ্যতে চরম প্রতিশোধ ভোগ করতে হবে।
ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা এ হামলার জন্য উপসাগরীয় দুইটি রাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের এ হামলার দায় নিতে হবে। আর এসব সন্ত্রাসীদের সহায়তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে এমন আরব দেশগুলোকে দোষারোপ করছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ইরানের বিরোধীদেরকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে আরব কয়েকটি দেশ। তবে আমরা তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত। এ অবস্থা মোকাবেলা করতে পারবে আমার জনগণ।
এদিকে এই হামলার প্রতিশোধে ইরানকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ‘কড়া জবাব’ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেন, ইরানে সামরিক বাহিনীর ওপর দুঃসাহসিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি অবিচল যুদ্ধ প্রয়োজন। আর এজন্য তেহরানকে রাশিয়া আরও সহযোগিতা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮) ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আহভাজে সেনাদের কুচকাওয়াজ লক্ষ্য করে গুলি করে বন্দুকধারীরা।
এ ঘটনায় হামলাকারী চারজনসহ ২৯ জন নিহত এবং অন্তত ৭০ জন আহত হন।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া আট বছরের যুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে এখন পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ চলছে। এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রতিরক্ষা সপ্তাহজুড়েই সামরিক খাতে ইরানের সাম্প্রতিক নানা সাফল্য প্রদর্শন করা হবে।
তারই অংশ হিসেবে আহভাজ শহরে ওই সামরিক মহড়া চালানো হয়। সেনা সদস্যরা সামরিক মহড়া শুরু করার পর কাছাকাছি একটি পার্ক থেকে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত চার বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।