
গত সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে তাঁকে ওপেন করতে পাঠিয়ে দেওয়াটা ছিল বিশাল এক চমক। ৪২ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ দলের আস্থার প্রতিদান দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ এবার নিজে অধিনায়ক হয়েও দিলেন আরেক চমক। বিপিএলে নিজ দলের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাত নম্বরে। রাজশাহী কিংসকে জয়ে ফেরাতে কাল নেমে গেলেন ওয়ান ডাউনেই।
নেমেই গেলেন না শুধু, দলকে জয়ের প্রায় তীরে পৌঁছে দিয়েই ফিরলেন। খুলনা টাইটান্সের ৯ উইকেটে তোলা ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে করলেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও। যা চলতি বিপিএলে স্থানীয় কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসও। ৪৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংসে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন। তাতে প্রথম জয়ের মুখও দেখল রাজশাহী কিংস। তাদের ৭ উইকেটের জয় টানা তৃতীয় হারের হতাশায় মুষড়ে দিল খুলনা টাইটান্সকেও।
শুধু মিরাজই নন, গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচেও উজ্জ্বল ছিলেন বিজয়ী সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে দল যখন ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে, তখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ধরে খেললেন। অন্য প্রান্তে প্রথমে ঝড় তুললেন আফিফ হোসেন (২৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪৫) এবং পরে নিকোলাস পুরানও (৩২ বলে ৩টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় অপরাজিত ৫২)।
গুটিয়ে থেকে পরে আবার পুষিয়ে দেওয়া ওয়ার্নারও শেষ পর্যন্ত খেলেন ৪৭ বলে ২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস। সুবাদে ৫ উইকেটে ১৬৮ রানের বিশাল সংগ্রহ তাদের। যদিও শেষ ওভারে জেতার জন্য ২৪ রানের প্রয়োজনের পেছনে ছুটেও ওয়ার্নারদের প্রায় কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ভাইকিংয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিংক (২৪ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রান)। সঙ্গীর অভাবে তাঁর লড়াই বিফলে যায় ৫ রানের হারে। দলের জয়ে অবশ্য সিলেট সিক্সার্সের তাসকিন আহমেদের অবদানও কম নয়, ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে এটি ভাইকিংদের প্রথম হার। সমানসংখ্যক ম্যাচে সিক্সারদের প্রথম জয়ও।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ফ্রাইলিংক কাল বল হাতেও সফল। নিয়েছেন ২৬ রানে ৩ উইকেট। পরে ব্যাট হাতেও ম্যাচ জমিয়ে তুলেছেন। কিন্তু খুলনা টাইটান্সের ব্যাটিংয়ে কাল এমন কোনো আকর্ষণই ছিল না। ৫৫টি ডট বল দেওয়া দল নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। তাদের চেপে ধরায় অগ্রণী রাজশাহী কিংসের শ্রীলঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা (৩/১৫)।
