সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে। তিনি বললেন, রাজনীতিকে সামরিকীকরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ অবস্থায় তিনি পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেননি। কড়াভাবে এর নিন্দা জানিয়েছেন। মিখাইল গর্বাচেভের বয়স এখন ৮৫ বছর। তিনি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অষ্টম ও শেষ নেতা। একই সঙ্গে সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টিরও নেতা। তিনি মনে করেন, বিশ্ব যেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বিশ্বে শীতল যুদ্ধকালীন রাশিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের। তার আগে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে এসব কথা বলেছেন ‘গ্লাসনস্ত’ বা মুক্ত নীতির প্রবক্ত এ নেতা। তিনি বলেছেন, বিশ্ব এখন সমস্যায় সমস্যায় ভরপুর। রাজনীতিক, নীতিনির্ধারকরা দৃশ্যত দ্বিধান্বিত ও পরাজিত। কিন্তু রাজনীতিকে সামরিকীকরণ ও নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এখন আর নেই। আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হতেই হবে এই ধ্বংসাত্বক ও উল্টোযাত্রার গতি স্তব্ধ করা। বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ বিপদহনক। রাশিয়ান বংশোদ্ভূত বর্তমান ইউক্রেনের এই নেতা কিভাবে ইউরোপে সেনা, ট্যাংক ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের মোতায়েন করা হচ্ছে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, এক সময় ন্যাটো ও রাশিয়ার সেনারা, তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র দূরত্বে মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু তা এখন ‘পয়েন্ট-ব্লাঙ্ক’ দূরত্বের মধ্যে অর্থাৎ খুব কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি সাবমেরিনের প্রসঙ্গে কথা বলেন। বলেন মাত্র একটি ‘সালভো’ অর্ধ মহাদেশ ধ্বংস করে দিতে পারে। রাজনীতিক ও সামরিক নেতারা ক্রমাগত যুদ্ধবাজের মতো কথা বলছেন। প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভয়াবহ সব কথা বলছেন। এর সঙ্গে সুর মিলাচ্ছেন ধারাভাষ্যকার ও টিভি ব্যক্তিত্বরাও। সব দেখে মনে হচ্ছে বিশ্ব যেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।