Sunday, April 21

মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জে ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বরুন্ডী তাজবিদুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে। আহত ছাত্র মো. লাজিম মোল্লা (১২) বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সর্বানন্দপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসীর ছেলে।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বদরুল আলম জানান, ওই শিশু তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম নিয়ে বিকেল তিনটার দিকে হাসপাতালে আসে। তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।আহত ওই ছাত্র জানায়, সে স্থানীয় বরুন্ডী সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করে। ছেলেবেলা থেকে তার আরবি নিয়ে পড়ার শখ থাকায় সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি না হয়ে জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে ভর্তি হয় ওই আবাসিক মাদরাসায়। সে ইতোমধ্যে ছিপাড়া পড়া শেষ করেছে। রোববার তার কুরআন ধরার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার এশার নামাজের পর ওই শিক্ষক তাকে ছিপাড়া পড়া ধরেন। একটু ভুল হওয়ায় ওই শিক্ষক তাকে স্টিলের স্কেল দিয়ে পেটায়। কান্না করলে মুখ চেপে ধরে। চোখ দিয়ে পানি বের হওয়ায় আরো পেটায়। ঘটনার রাত শেষে ফজরের নামাজের সেজদা দেয়া অবস্থায় সে ওই মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় ফিরে আসে। ওই ছাত্রের মা লিপি আক্তার জানান, তার ছেলে ছোটবেলা থেকেই আরবি শেখার ব্যাপারে আগ্রহী। সে গত এক বছর ধরে ইমামের অবর্তমানে নিজ গ্রামের মসজিদে আজান দেয় ও নামাজ পড়ায়। মাদরাসায় ভর্তির আগ পর্যন্ত সে এই কাজটি করে। শিক্ষকের এই আচরণে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন।অভিযুক্ত শিক্ষক মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ওই ছাত্রের মা লিপি আক্তার। এই ধরনের শিক্ষকদের শিক্ষকতা পেশায় থাকা উচিৎ নয় উল্লেখ করে তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply