
গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের গাড়িচালক হিরা মিয়াকে ট্রাফিক পুলিশের মারধরের ঘটনায় রাজবাড়ী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের পরিবহণ পুলের চালক ও কর্মচারীরা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহরের রাণী বিলাসমনি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়েছে। তারা হলেন কনস্টেবল ইউসুফ আলী ও নুর মোহাম্মদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের স্টিকারযুক্ত গাড়িযোগে তার দুই শিশু মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন চালক মো. হিরা মিয়া। বেলা ১২টার দিকে তার গাড়িটি শহরের রাণী বিলাসমনি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে এসে পৌঁছলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই গাড়িটি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে বলেন।
চালক হিরা মিয়া ট্রাফিক পুলিশকে জানান, গাড়িতে জেলা প্রশাসকের দুই মেয়ে রয়েছেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ট্রাফিকের এক পুলিশ সদস্য ডিসির গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় চালক হিরা মিয়া প্রতিবাদ করলে লাঠি দিয়ে তাকেও আঘাত করে এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামাতে চায় দুই পুলিশ কনস্টেবল ইউসুফ ও নুর মোহাম্মদ। পরে চালক রাস্তা ঘুরিয়ে ডিসির বাসভবনে চলে যান।
এদিকে জেলা পুলের এক গাড়িচালককে পুলিশ কর্তৃক মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে রাজবাড়ী সড়ক অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা আধা ঘণ্টাব্যাপী ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে প্রশাসকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মচারীদের বুঝিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অভ্যন্তরে নিয়ে যান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গাড়িচালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
