Friday, March 22

নানা সমস্যায় বাকৃবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

বসার আসন সংকট, শীতাতপ ব্যবস্থা নষ্ট, ফ্যান নষ্ট, নোংরা টয়লেটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এ ছাড়া চাকরির বইসহ অন্যান্য বই, বাইন্ডিংস নিয়ে গ্রন্থাগারে ঢুকতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

গ্রন্থাগারে এসব সমস্যা থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ক্যান্টিনে এসে পড়াশোনা করছেন তারা। এ বিষয়ে বারবার লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর ক্লাস, পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান রয়েছে। হলগুলোতে সিট সংকট ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে চাকরির পড়াসহ একাডেমিক পড়া পড়তে আসে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ বেশি পায়।

কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ছুটির দিনগুলোতে টিএসসির ক্যান্টিনে বসে পড়তে হয়। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে আসন সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে বসে পড়ার সুযোগ পায় না। এ ছাড়া লাইব্রেরিতে পর্যাপ্তসংখ্যক বইয়েরও ঘাটতি রয়েছে। বই খুঁজে পেতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রন্থাগারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। চারদিক বদ্ধ থাকায় বাইরে থেকে প্রাকৃতিক বাতাস প্রবেশ করার সুযোগ নেই এখানে। এদিকে ফ্যানগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় প্রচণ্ড করতে অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রন্থাগারের টয়লেট নোংরা, নামাজঘর গোডাউন ঘর হয়ে পড়ে রয়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাকৃবি শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম নান্নু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন। লাইব্রেরির সমস্যা সমাধানের জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন বলেন, গ্রন্থাগারের সমস্যাগুলো উপাচার্য মহোদয়কে সঙ্গে নিয়ে আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। শিগগিরই পুরো গ্রন্থাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে এবং অতিদ্রুতই সেগুলো সমাধান করা হবে।

Leave a Reply