ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সংবলিত চার হাজার ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না সাংহাই টেকনোলজি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভবনের সভাকক্ষে এফবিসিসিআই ও চীনের অল-চায়না ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের (এসিএফআইসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ব্যবসায়িক বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠে আসে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মি. হুয়া লি বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি বাস দেবো। এতে ঢাকার সড়কে সুবিধা হলে চার হাজার বাস প্যাকেজ আকারে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চায়না প্রতিষ্ঠানটি যে বাসের কথা বলছে সেটি আধুনিক সুবিধা সংযুক্ত। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বাস সার্ভিস চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রথমবারের মতো কোনো চীনা মন্ত্রী বিনিয়োগের স্থান খুঁজতে বাংলাদেশ সফর করেছেন জানিয়ে মাতলুব আহমাদ বলেন, চায়না কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, ডিস্ট্রিবিউশন, এগ্রো, ফুড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে ডেইরি ফার্মে বড় ধরনের সম্ভাবনা দেখিয়েছে তারা। এসব বিষয়ে আমরা তাদের দূতাবাসকে জানিয়েছি এবং তারা রাজি যেকোনো সহায়তায়।
এছাড়া চীনের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে কমিটি করা হবে এবং এই কমিটি সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রতি মাসে জানাবে।
চায়না চেম্বারের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মি. চ্যুয়ান ঝেঝু’র নেতৃত্বে চীনের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল এ ব্যবসায়িক আলোচনায় অংশ নেয়।
এসময় বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. মা মিং চিয়াং এবং এফবিসিসিআই মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদসহ উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। এ দুটি প্রকল্প, যার একেকটির ক্ষমতাই এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চীন। এছাড়া একটি সার কারখানা, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে চীনা অর্থ সাহায্যে।
সফরে দুদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরনের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়। যার মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের ১৩টা চুক্তি হয়েছে। এই ১৩টি চুক্তিতে প্রায় এক হাজার তিনশো ষাট কোটি ডলার ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে।