বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হাসিব মাল (১২) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র বিয়ের পরেরদিনেই কন্যা সন্তানের বাবা হল। শুক্রবার রাতে অন্ত:সত্ত্বা কনে সোনিয়া আক্তার (১৮) ওই সন্তান প্রসব করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উমাজুড়ি গ্রামে।
স্থানীয় নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ বাড়িতে কাজী ডেকে এই বিয়ে পড়িয়ে দেন। পাত্র হাসিব গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। কাগজে কলমে তার বয়স ১২ হলেও বাস্তবে বেশি হবে। সে উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে। সোনিয়া আক্তার একই গ্রামের আসলাম মালের মেয়ে।
বিয়ের আগে হাসিবের সঙ্গে মেলামেশায় অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে সোনিয়া। যার সামাজিক সমাধান করা হয় ওই দু’জনের বিয়ে পড়িয়ে।চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজী মো. আলতাফ হোসেন ৫০হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে পড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে খুব গরীব। তারা একে অন্যের সাথে মেলামেশা করে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে তাই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ছাত্র হাসিব মাল অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্যায়ভাবে অন্ত:সত্ত্বা কনেকে আমার উপর চাপানো হয়েছে। সোনিয়ার গর্ভের সন্তানের দায় আমি কেন নেব? আমিতো লেখা পড়া করছি।’ অসহায় শিশু ছাত্র হাসিব মাল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।