Wednesday, April 24

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে ডা. আলমগীর মতি’র খাদ্য পরামর্শ

সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ কন্ঠ.কম: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্রতিদিনও কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শায়িত হচ্ছেন। অনেক কে মাসের পর মাস বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। যারা এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন তাদের জন্য স্বদেশ কন্ঠ সম্পাদক আরজে সাইমুর রহমান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ও গবেষক ডা.আলমগীর মতি স্যারের সাক্ষাতকার নেন। সাক্ষাতকারেে উক্ত বিষয় সমুহ স্বদেশ কন্ঠকে জানান ডা. আলমগীর মতি। তিনি জানান-  ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে রোগীরা কিছুই খেতে চায় না বা পারে না। শিশু ও বংস্কদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং রোগী ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পরে ও নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়। জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে, ফলে বিপাক বেড়ে যায় ও রোগীর পুষ্টির দরকার হয়। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরির পাওয়া যায়।

এ জ্বরে প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার। পানির পাশাপাশি লবন ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল যেমন ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শরবত, ফলের রস পান করা উচিত। এর ফলে রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। অতি মিষ্টি পানীয় খেলে বমির উদ্রেক হতে পারে। তাই বাজারের কোমল পানীয় বা আইসক্রীম সহজে পিপাসা মেটায় না। অরুচি বা বমি ডাবের জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন-ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। প্রোটিন যেমন-দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস ও স্যুপ রাখুন। অনেক ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীর কিছু খেলেই বমি আসে। তারা হালকা শুকনো খাবার খাবেন। যেমন বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। আদা-চা, পেঁপে পাতা, গ্রি-টি বা শুকনো আদা বমি কমায়। এ সময় ফল বেশি খেতে হবে।

ডা. আলমগীর মতি

হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ, ঢাকা।

মোবাইল-01911386617

Leave a Reply