Thursday, March 28

রুবি লাইভে এসে স্বীকার করলেন সালমান শাহ’কে খুন করা যে ভাবে হয়েছিলো |

রুবি লাইভে এসে স্বীকার করলেন সালমান শাহ’কে খুন করা যে ভাবে হয়েছিলো |খুব অস্বস্তি লাগছিলো,ওদের আদর পাওয়ার যোগ্য আমি না।
মিতুদের বাড়িতে যে ক’দিন ছিলাম ওর সাথে কথা বলতে হয়েছিল।
বাসায় ফেরার পর টুকটাক কথা হতো।প্রয়োজনের বাইরে কিছু বলতাম না।এ কয়েকদিনে ও সবাইকে খুব আপন করে নেয়।শুধু আমি ছাড়া।ও হয়তো বুঝতে পারতো ওকে আমি পছন্দ করিনা।
অবশ্য মা ও বিষয়টি খেয়াল করতো।আমাকে অনেক বোঝায় কিন্তু মন বদলাতে পারে না।আমি ইচ্ছে করেই বাসায় দেরিতে ফিরতাম।ভাল লাগতো না বাসায়।
আমার প্রয়োজনীয় সব কিছু হাতের কাছেই পেতাম।মিতু আমাকে দেখলে রুমে আসতো না।আমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আসতো আবার ঘুম থেকে উঠার আগে চলে যেত।ও খেত কিনা কোন খোঁজ আমি নিতাম না।এভাবে প্রায় চার মাস কেটে যায়।একদিন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মিতুকে দেখলাম।এ কয়েকদিনে মেয়েটি কেমন যেন হয়ে গেছে।চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে,মোটু মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে।
ওর এমন চেহারা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়।ছাদে গিয়ে বসে অনেক্ষন ভাবলাম।আমি হয়তো মিতুকে খুব বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলছি।রাতে এগারোটায় রুমে ফিরি।মিতু আমায় দেখে চলে যাচ্ছিলো আমি ওকে আটকালাম।ও খুব অবাক চোখে আমার দিকে তাকালো,আমি ওর চোখের কালিতে আমার ভুলটা দেখছিলাম।খুব বেশি অনুতাপের আগুনে জ্বলছিলাম।মিতু আমার চোখে তাকায়নি সেদিন।আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম খেয়েছে কিনা।ও ছলছল চোখে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,”নাহ রাতে খাইনি,সন্ধ্যায় নাস্তা খাওয়ায় খিদে নেই।”
আমি বললাম,আমার খিদে পেয়েছে চলো খাবার দাও”।
ও কিছু না বলে টেবিলে খাবার দিয়ে চলে যাচ্ছিল আমি ওকে বললাম”পাশে বসো,একা খেতে পারি না”
ও বসলো।আমি বললাম>>
>>মাছটা ভাল হয়েছে।
>>(চুপ,,,,)
আমি এক লোকমা নিয়ে ওর দিকে এগিয়ে দিলাম,ও খেতে চায়নি।আমি রাগ করার অভিনয় করে উঠে যাচ্ছিলাম মিতু আমায় বসতে বললো।ও আমার লোকমাটা মুখে তুলেছিল ঠিক তবে খেতে পারেনি।অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।আমি খুব বেশি ভয় পেয়ে যাই,মা-বাবাকে ডাকি।এম্বুলেন্সকে ফোন করে ওকে নিয়ে হাসপাতালে যাই।ডাক্তার বললো ঠিকমত খাওয়া-ধাওয়া না করায় ও দূর্বল হয়ে পড়েছে,রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।বাবা আমার আর মায়ের উপর খুব রেগে যায়।মিতু যে ঠিকমত খেত না সেটা মা ও জানতো না।ও না খেয়ে স্লিম হতে চেয়েছিল।নিজের প্রতি রাগ আরো বেড়ে যায় আমার।আমি মিতুকে আমার অযোগ্য ভেবেছি,অথচ আজ নিজেকে মিতুর অযোগ্য মনে হচ্ছে।
ওকে বাসায় নিয়ে আসি।মিতুর বাবা-মা খুব রাগ করে,ওকে নিয়ে যেতে চায় তাদের কাছে কিন্তু মিতু যায়নি।ও সব দোষ নিজের ঘাড়ে নেয়।আমি মিতুর চোখে তাকাতে পারতাম না।খুব ছোট মনে হতো।ওকে আমি দুপুরে ফোন করে জিজ্ঞাসা করতাম খেয়েছে কিনা।।ও খুব অবাক হতো।
আমি ধীরে ধীরে ওর প্রেমে পড়ে যাই।ওর হাসি,ওর চোখ,ওর ঘন কালো চুল।এসব যেন আগে চোখেই পড়েনি কিংবা সেই চোখ আমার ছিলো না।
আমার এই মটু বউটাকে মায়াবতী মনে হতে শুরু করলো।আমি ওকে হারাতে চাইনা।ও যেমন তেমনভাবেই ভালবাসি ওকে।
আসলে আমার ধারণা ভুল ছিল।বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়েও মনের সৌন্দর্য অনেক জরুরি।
আর সেটা আমি মিতুর মাঝে খুঁজে পেয়েছি।

Leave a Reply