Thursday, April 25

যারা এখনো দেখেন নাই তারা দেখুন…

ভিডিওটি দেখতে পোস্টের নিছে চলে যান

সৌদি থেকে ফিরে আসার পর এই মহিলাকে আর ঘরে তোলেননি যে কারনে! দেখুন বিস্তারিত…
লোভের বশে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। গণধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ফিরেছেন ময়মনংিহের নান্দাইল উপজেলার একটি গ্রামের সেই গৃহবধূ। দেশে ফিরে তিনি নতুন সংকটে পড়েছেন। তাঁকে আর ঘরে তুলছেন না স্বামী। গতকাল বুধবার সেই নারী কালের কণ্ঠকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, তাঁকে মক্কা-মদিনার কাছে একটি কম্পানিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঠানো হয়।

সেখানে যাওয়ার পর আব্দুল বারিকের (সৌদি নাগরিক) হাতে তুলে দেওয়া হয়। চারতলার বাসার দ্বিতীয় তলায় তাঁকে নেওয়া হয়। সেখানে মালিকের স্ত্রী, দুই ছেলে ও তাঁর দুই শ্যালক থাকে। যাওয়ার দিন থেকে একটি কক্ষে নিয়ে চলে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন। চিৎকার করলে মালিকের স্ত্রী চাবুক দিয়ে পেটাতেন। কিছুদিন পর বাসার সবাই (মালিক ছাড়া) বাইরে গেলে কৌশলে দেশে স্বামীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বর্ণনা দেন। এটা জানার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মালিক। বাইরে থেকে লোক এনে নির্যাতন চালানো হয়।

একপর্যায়ে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা দেন গৃহবধূ। সেখান থেকে এক দালাল তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখানেও যৌন নির্যাতন চলে। একপর্যায় গুরুতর অসুস্থ হলে দালালচক্রটি তাঁকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ১৯ দিন জেলে থাকতে হয়। সেখান থেকে গত ১১ মার্চ দেশে পাঠানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে নেমে কাউকে না পেয়ে তিনি নরসিংদী ছেলেদের কাছে গিয়ে পরদিন স্বামীর বাড়ি নান্দাইলে আসেন।

ওই নারী জানান, স্বামীর সংসারে এসে তিনি সবার কাছে ভর্ত্সনার শিকার হয়েছেন। তাঁকে অপমান-অপদস্থ করা হয়। সেই মুহূর্তে চলে যেতে বলে সবাই। পাঁচ বছর বয়সী কন্যার অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ কোনো মতে ছিলেন। স্বামীর মানসিক নির্যাতনের কারণে থাকা সম্ভব হয়নি। বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। আর যেন এই সংসারে সে না আসে—এই বলে শাসিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর একটি উপজেলায় ছেলেদের কাছে রয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ এই নারী বলেন, ‘আমি অহন কী করবাম? সন্তানদের মুখের দিকে তাইকাইয়্যা মরতেও পারি না। যারা আমার এ সর্বনাশ করছে, তারার বিচার কেলা করব?’

ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে সৌদি আরব গিয়ে যৌন নির্যাতনের পর ফিরে এসেছে স্ত্রী। এ ঘটনা এলাকার লোকজন জেনেছে। এখন সমাজের ভয়ে তাকে বাড়িতে রাখা সম্ভব না। এ জন্য তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় এলাকার লোকজন আমাকে সমাজচ্যুত করতে পারে।’

উল্লেখ্য, তাঁকে নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি কালের কণ্ঠ ‘সৌদি আরব থেকে স্বামীর কাছে ফোন, ওরা নির্যাতন করছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁর স্বামী ঢাকায় একটি রড-সিমেন্টের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পাঁচ বছর আগে রড বহন করার সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাঁ কাঁধ ভেঙে গেলে সহায়সম্বল বিক্রি করেও আর সুস্থ হননি। এ অবস্থায় সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। সাত সদস্যের পরিবারে চলে অভাব অনটন। কিছুদিন পর স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে নরসিংদী চলে যান। সেখানে ছেলেরা রিকশা চালায় আর তিনি একটি সুতার কারখানায় কাজ নেন। গত বছরের নভেম্বরে এলাকার কয়েক নারী জানায়, তারা সৌদি আরব যাবে চাকরি করতে। সেখানে গেলে কোনো টাকাপয়সা লাগবে না। বেতন হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। এই কথা বিশ্বাস করে স্বামীকে না জানিয়ে সৌদি আরব যান তিনি। নির্যাতনের কথা স্বামীকে জানিয়ে ফোন করেন।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ‘কালের কণ্ঠে খবর প্রকাশের পর ওই নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপরতা শুরু হয়। কয়েক দিন আগে সেই নারী ফিরে আসার খবর পেয়েছি।’

নান্দাইল থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে এনে মামলা নেওয়া হবে। এরপর কথিত দালাল মো. শাহজাহানসহ চক্রটিকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

আরো পড়ুন

বউকে দিয়ে যৌন ব্যবসা যে গ্রামে রীতি

বউকে দিয়ে যৌন ব্যবসা- ভাবুন তো একবার, নিজের বউকে দিয়ে যৌন ব্যবসার কথা কেউ ভাবতে পারে? তারাই ভাবতে পারে, যারা একেবারেই হীন চরিত্রের অধিকারী। অথচ ভারতের দিল্লীতে বসবাসকারী একটি সমাজে এটি এখন রীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে।

বিয়ের আগে থেকেই এখানকার নারীরা জানেন, তাদের কার্যত যৌনকর্মী হিসেবেই বেঁচে থাকতে হবে। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গৃহবধূদের ওপর চলছে স্বামী কর্তৃক এই নির্যাতন।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নাজাফগড়ের ধরমপুর এলাকায় ওই জনগোষ্ঠীর বাস। সম্প্রতি সেখানে এক কিশোরীর মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়। মেয়েটি এ বয়সে বিয়ে করতে চায়নি। কিন্তু বাধ্য হয় সে বিয়ে করতে।

বিয়ের পরদিন থেকেই তাকে যৌন ব্যবসায় লিপ্ত করে স্বামী। প্রতি রাতে এ কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত রুপি সে স্বামীর হাতে তুলে দেয়। না দিলেই নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। পরিবারের অন্যরাও তার পক্ষে এগিয়ে আসে না।

ওই নারী আরও জানায়, এক পর্যায়ে মা হওয়ার পরেও তার রেহাই মেলেনি। সারা রাত দেহব্যবসা করে যখন সে বাড়ি ফেরে তখন বাড়ির সবাই থাকে রাতের ঘুমে। শুধু ঘুম নেই তার। এ অবস্থা গ্রামের অধিকাংশ গৃহবধূর। তারা বাড়ি ফিরে গোসল করে সংসারের কাজে নেমে পড়ে।

স্বামী ও শিশুদের ঘুম থেকে তুলে নাস্তা তৈরি করে খাইয়ে তারপর তারা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। তবে এসব কর্মকাণ্ডে কোনো রাখঢাক রাখে না তারা। কারণ এটাই যে তাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম পথ।

Leave a Reply