Saturday, May 10

উত্তেজনায় এতোটাই পাগল ছিলাম যে, ননদের ছেলের সাথে সারারাত…

খুব নির্লজ্জভাবেই বলছি আমার জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। হয়ত আমার পরিবার বা আমার স্বামীর পরিবারের কেউ জানলে আমাকে কোনদিন ক্ষমা করবেনা । আমার বিয়ে হয়েছে ১০ মাস হল। আমি বিবিএ ফার্স্ট ইয়ারে উঠতেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। আমার স্বামী থাকে দেশের বাইরে। বিয়ের ১ মাস পরেই সে চলে যায়। আমাদের বয়সের পার্থক্য একটু বেশী ছিল। আমার হাজবেন্ড আমাকে সময় দেয় না ঠিকমত। কাজে অনেক ব্যস্ত থাকে। বিয়ের পরে আমি শ্বশুর বাড়িতেই থাকি। বাড়িতে আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, আমার ভাসুর ও তার ফ্যামিলি থাকে।

আমার বড় ননদের ছেলেও আমাদের সাথে থাকে। জমজমাট একটা পরিবার আমার শশুরবাড়ী। আমার ননদের ছেলে আর আমি সমবয়সী। ও অন্য একটা প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয়ে ফার্স্ট ইয়ারে বিবিএ পড়ে। ওর বাবা মা ঢাকার বাইরে থাকে, তাই ও নানাবাড়ি থেকে পড়াশুনা করে। আমার ননদের ছেলে আর আমি সমবয়সী হওয়ার কারনে আমাদের মধ্যে একটা ভাল বন্ধুত্ব হয়। যদিও সবার সামনে ও আমাকে মামী আর আপনি করে বলে। কিন্তু একা থাকলে আমরা বন্ধুর মত থাকি। আমার শশুড় বাড়ির লোকেরা অনেক কনজারভেটিভ, বাইরে খুব বেশী যেতে পারতাম না । তাই দুজনে ছাদে ঘুরতাম।

সত্যি বলতে, আমি ওর সাথে সুন্দর সময় পার করি
। ওর সাথে সময় দিয়ে আমার একাকিত্বটা দূর হত কিছুটা। আমরা যখন একা থাকতাম তখনও মাঝে মাঝে সে আমার সাথে দুষ্টামি করত। যেমন আমার চুলের বেণি খুলে দিত, হুট করে হাত ধরত। আমি সবকিছু মজা হিসেবে দেখতাম। আমিও একা থাকতাম তাই ওর দুষ্টুমিটা ভালই লাগত। ও মাঝে মাঝে সিগারেট খেতো, আমরা দুজনে একদিন ছাদে লুকিয়ে সিগারেটও খেয়েছি।

একদিন আমার শশুরের একটা আত্মীয় মারা যাবার খবর আসলে বাসার সবাই সেখানে চলে যায়। বাসায় শুধু আমি, আমার ননদের ছেলে আর কাজের মেয়ে ছিল। কাজের মেয়েটা বাহিরে কাজ করছিল। আর সে ওইদিন আমার রুমে আসে। আমরা অনেক গল্প করি। মাঝে মাঝে ও আমার হাত ধরে, আমার গালে হাত দেয়। কিছুক্ষণ পর ও রুম থেকে চলে যায়। রাত যখন ৯টা বাজে তখন সে আমার রুমে আবার আসে। ওর হাতে একটা ব্যাগ ছিল। রুমে ঢুকে ও দরজা বন্ধ করে দিল, তারপর ব্যাগটা খুলে একটা টাকিলা আর ভদকার বোতল বের করে। বলে, আজকে তোমাকে ড্রিঙ্ক করাবো। আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না, পরে রাজি হই।

আমি আগেও ড্রিঙ্ক করেছি, তবে ওইদিন একটু বেশী করলাম। ও পুরো বোতলটা শেষ করে ফেলল। আমরা দুজনেই মাতাল হয়ে যাই। বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ সে আমাকে জড়িয়ে ধরে এবং আমাকে চুমু খেতে থাকে। আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে আমি তোমার মামী হই, আমাদের মধ্যে এগুলা করা ঠিক না। কিন্তু সে বলে আমি ওসবকিছু বুঝি না, এই মুহুর্তে তোমাকে অনেক আদর করতে ইচ্ছা করছে। সে আমাকে বিছানায় শুয়ে দিল তারপর আমার বুকের উপরে উঠল।

আমিও নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল অনেক দিনের কিছু না পাওয়া আজকে আমার পূরন হতে যাচ্ছে। আমি ওর আদরে সাড়া দিলাম। আমরা তখন একটা অন্য দুনিয়ায় ছিলাম। প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক হল। আমরা একটু ক্লান্ত হয়ে দুজনেই নগ্ন হয়ে একসাথেই শুয়ে পড়লাম। আমাদের নেশার ঘোর তখনও কাটেনি, কিছুক্ষন পর আবার শারীরিক সম্পর্ক করলাম। সেই রাতে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছি। অনেক ক্লান্ত আর আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সেদিন। অনেক দেরিতে আমার ঘুম ভেঙেছিল।

ঘুম ভেঙে দেখি আমি আমার বিছানায় একা শুয়ে আছি, আমার শরীরে কোন কাপড় ছিলনা। বুঝতে পারলাম গত রাতে কত বড় অন্যায় করেছি। জানি এটা ঠিক হয়নি। আমরা দুজনেই পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পারি। আমার নিজের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। আমাকে একটু পরামর্শ দিবেন, আমি এখন কী করবো? আমি কি আমার হাজবেন্ডকে সব খুলে বলবো? আমার কী করা উচিৎ?

পরামর্শঃ-
তোমার জীবনের এই ঘটনার জন্য শুধু তুমি নও, আরও অনেক গুলো মানুষ দায়ী। তোমার পরিবার, তোমার স্বামী, শ্বশুরবাড়ি এবং ওই ছেলেটা- সবাই দায়ী। কারো দোষ কম নয়। আমি জানি, এই চিঠি পড়ে অনেকেই তোমাকে বাজে কথা বলবে। কিন্তু আমি ১০০ ভাগ দোষ তোমাকে দিতে পারছি না। যে বয়সে তোমার ভার্সিটি যাওয়ার কথা, হেসে খেলে বান্ধবীদের সাথে সময় কাটাবার কথা, প্রেম করার কথা- সেই বয়সে পরিবার তোমাকে বিয়ে দিয়েছে। তাও একজন বয়স্ক লোকের সাথে। চিন্তা করা যায়! তারপর যদি স্বামী কাছে থাকতেন, তাহলে একটা কথা ছিল। তিনি থাকেন বিদেশে। শ্বশুরবাড়ির এত শাসন, যে নিঃশ্বাস নেয়া যায় না। এমন অবস্থায় ২০ বছরের একটি মেয়ে ভুল করতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তোমার বয়সটাই এখন অস্থির, সংসারের জোয়াল ঘাড়ে নেয়ার বয়স না। তুমি নিজেও ভুল করেছো। ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে বলে হুট করে বিয়েতে মত দিয়ে দিয়েছো। তবে তোমার ওই ভাগ্নেও ভালো না। সেও কিন্তু সুবিধাবাদী। সে ওইদিন তোমাকে মদ খাইয়েছিল এই কাজটি করার জন্যই।

তাই ওই ছেলেটির প্রেমে পড়ে গেলে বা ওই ছেলেটির সাথে ঘনিষ্ঠ হলে তোমার জন্য একেবারেই ভালো হবে না। তুমি এখন যা করতে পারো, সেটা হচ্ছে স্বামীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করো। এই মধ্য বয়স্ক লোকটিকে তুমি ভালবাসোনা, ভালবাসলে প্রতারণা করতে পারতে না। তাছাড়া আমার মনে হয় না এমন দূরত্বের সম্পর্কে তুমি সুখে থাকবে। তাছাড়া এখন লোকটার সাথে সম্পর্ক রাখার অর্থ হবে তাঁকে ঠকানো। তুমি প্রথমে বাবার বাড়ি চলে যাও। সেখানে গিয়ে স্বামীকে সব খুলে বলতে পারো।

সাথে এটাও বলো যে তুমি আর সংসার করতে চাইছো না। এটা খুবই স্বাভাবিক, যে তোমার স্বামী সব শুনে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবেন। সেক্ষেত্রে তুমি মুক্ত। লেখাপড়া করো মন দিয়ে। নতুন করে জীবন শুরু করো। স্বামী তালাক দিলে পরিবারও আর জোর করে ওই সংসারে তোমাকে রাখবেনা। আর স্বামী যদি সব জেনেও তোমাকে মেনে নেন, তাহলে বুঝবে তিনি আসলেই তোমাকে ভালোবাসেন। সেক্ষেত্রে স্বামীর সাথে সম্পর্ক জোড়া দেয়ার একটা চেষ্টা করতে পারো। তবে এই শর্তে, যে তোমরা দুজন একই সাথে থাকবে। কাছাকাছি থাকলে এই সমস্যাগুলো মিটে যাবে।

Leave a Reply