Friday, March 29

‘আমার প্রেম নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই, স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছি’

স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছি- ভারতের করিমগঞ্জের রবীন্দ্রসদন কলেজের ছাত্রী মৌসুমী দাস ওরফে ফাতেমা জান্নাত বলেছেন, ‘আমাকে কেউ জোর করে নাই, বরং আমিই নোমান বাদশার সঙ্গে ( বর্তমান স্বামী) জোর-জবরদস্তি করে এখানে এসেছি।

আমাকে নিয়ে আসামে রাজনীতি করার কিছু নেই। আমি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে, নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আমার রয়েছে। আমি এখানে খুবই ভাল আছি, আসামে আর ফিরতে চাই না।’

মৌসুমী দাস বাংলাদেশে পলিয়ে এসে ধর্মান্তরিত হয়ে নোমান বাদশাকে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনা নিয়ে ভারতের আসামের বিজেপির এক প্রভাবশালী বিধায়ক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ নিয়ে বিষোদ্গার করেছেন। এমনকি তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে কর্মরত বাংলাদেশি কয়েকটি কোম্পানীর প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন।

সোমবার ডেমরার আমলিয়া গ্রামের শশুর বাড়িতে আমাদের অর্থনীতিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। মৌসুমি দাস বলেন, ‘আমি শুনেছি আসামে আমার এ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে, রাজনীতি করা হচ্ছে, এটা মোটেই ঠিক নয়।

আমি এখানকার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা, আসাম থেকে আসা বিজেপি নেতাদের সামনে বলেছি, আমি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ, আমার নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আমার আছে।

এখানে স্বামীর সঙ্গে খুবই ভাল আছি, এখানে থাকতে চাই। আসামে ফিরতে চাই না। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এখন কেন এ নিয়ে কথা হবে?’

আসামের করিমগঞ্জে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘বাবা-মা খুবই ভেঙ্গে পড়েছেন, তারা সব সময় বকছেন। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, আমার জীবন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমার ভালোর জন্যই নিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ খুবই ভাল, আমার শশুর বাড়ির মানুষ আমাকে খুবই ভালবাসে।’

উল্লেখ্য, ভালবাসার টানে মৌসুমী দাস বাংলাদেশে এসে সম্প্রতি প্রেমিক নোমান বাদশাকে বিয়ে করেছেন। ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন নাম রাখে ফাতেমা উল জান্নাত।

তাদের খোঁজ পাওয়ার পর ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারিসহ দুজন কর্মকর্তা ও আসামের একজন বিজেপি নেতা ডেমরা থানায় অভিযোগ করলে মৌসুমী ও তার স্বামীকে আটক করে ডেমরা থানায় নিয়ে আসে। সেখানে মৌসুমী দাস সাফ জানিয়ে দেন সে আর ফিরতে চায় না। স্বামীর সঙ্গে থাকতে চায়।

এরপর ডেমরা থানা পুলিশ মৌসুমীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে চাইলেও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তাকে স্বামীর সঙ্গে যেতে দেয় পুলিশ। এখন সে ডেমরা এলাকার আমলিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন। ঢাকার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার স্বামী নোমান বাদশা কাজ করেন।

Leave a Reply