Saturday, April 20

মরিচ ঝাল ! এ কি গানে নেচে মেয়েটি ইউটিউবে ঝড় তুললো ! (ভিডিওসহ)

বি: দ্র : ই্উটিউব থেকে প্রকাশিত সকল ভিডিওর দায় সম্পুর্ন ই্উটিউব চ্যানেল এর । এর সাথে আমরা কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট নয় এবং আমাদের পেইজ কোন প্রকার দায় নিবেনা।ভিডিওটির উপর কারও আপত্তি থাকলে তা অপসারন করা হবে। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া নানা রকম ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা এবং সামাজিক সচেতনতা আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ।

ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন।

ভিডিওটি পোষ্টের নিচে দেয়া আছে। ভিডিওটি দেখতে স্ক্রল করে পোষ্টের নিচে চলে যান।

আরো পড়ুনঃ

চাঁদপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর : তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

চাঁদপুরের ফরক্কাবাদ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট এর গাড়ি ভাংচুর করেছে। শনিবার দুপুরে ইংরেজি বিষয়ের দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শেষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পরপর জেলা প্রশাসক, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুজিত রায় নন্দীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে যান।

পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশ জানান, শনিবার সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা পর তিনি ওই কেন্দ্রে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ সময় অবস্থান করায় কতিপয় পরীক্ষার্থী নকলের কোনো সুযোগ না পেয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তার গাড়ি ভাংচুর করে।

ঘটনার সময় তিনি পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় কলেজের সামনে থাকা গাড়িটিতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির সামনের ও পিছনের সকল গ্লাস ভাংচুর করা হয়। হামলাকীরা গাড়ির চালক জাহিদ হোসেনকে মারধরের চেষ্টাও করে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরপর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। গাড়িটি ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

শনিবার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। এদিকে, আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হাসান খান জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে স্থানীয় বহিরাগত কয়েকজন ব্যক্তি উস্কানি দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। পরে সকল শিক্ষক ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনার সাথে জড়িতের চিহ্নিত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফরক্কাবাদ স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুজিত রায় নন্দী বলেন, ঘটনায় জড়িত যারাই থাকুক না কেন- তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবুও প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার ক্ষতি হতে দেওয়া হবে না। কোনো ছাত্র অন্যায় করলে সে পার পাবে না।

অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ক্ষতিপূরণের ব্যয়ভার কলেজ কর্তৃপক্ষ বহন করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে ৩৫১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষ দিচ্ছেন।

Leave a Reply