দিনের শুরুতে ভারতীয় বোলারদের তোপে পড়ে মোহালি টেস্টের প্রথম সেশন শেষে ব্যাকফুটেই ছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনেই ঘুড়ে জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস ও জস বাটলারের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। বেয়ারস্টোর ৮৯, স্টোকস ২৯ ও বাটলারের ৪৩ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে দিন শেষ করে ইংল্যান্ড। দিনের শুরুতে টস ভাগ্যে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। তাই দলপতির সাথে দেখেশুনেই পথচলা শুরু করেন ইংলিশদের তরুন ওপেনার হাসিব হামিদ। ১০ম ওভারের শেষ বলে বিদায় নিতে হয় হামিদকে। ভারতের পেসার উমেশ যাদবের বলে দলীয় ৩২ ও ব্যাক্তিগত ৯ রানে বিদায় নেন হামিদ। এরপর কুকের সাথে জুটি বেঁধে রান তোলায় মনোযোগী হন জো রুট। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি রুট। দলীয় ৫১ রানে রুটকে ফিরিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন অফ-স্পিনার জয়ন্ত যাদব। ১৫ রানে আটকে থেমে রুট। রুট ফিরে যাবার ৬ বল পর প্যাভিলিয়নে ফিরেন কুকও। অবশ্য ২৩ রানেই থামতে পারতেন কুক। যদি না কুকের সহজ ক্যাচ ফেলতেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ২৭ রানে ওই অশ্বিনেরই শিকার হন কুক।
৫১ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামাল দিয়ে উঠেন মঈন আলী ও বেয়ারস্টো। জয়ন্তর ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার-ছক্কায় তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মঈন। কিন্তু সেই ইঙ্গিতকে মিথ্যা প্রমাণ করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হঠাৎ করেই বোলিং-এ পরিবর্তন এনে সাফল্যর দেখা পান কোহলি। পেসার মোহাম্মদ সামির তৃতীয় ডেলিভারিটি হুক করে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানেই আউট হন মঈন। ৮৭ রানে উপরের সারির চার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। দলকে সেই চাপ থেকে মুক্ত করেন বেয়ারস্টো ও স্টোকস। পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তারা। এই জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যক্তিগত ২৯ রানে থাকা স্টোকসকে শিকার করেন জাদেজা। স্টোকস ফিরে গেলেও ইংল্যান্ডের রান তোলায় ভাটা পড়েনি। কারণ এরপর বেয়ারস্টোর সাথে ৬৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন প্রথমবারের মত চলমান সিরিজে খেলতে নামা জস বাটলার। এবারও এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান জাদেজা। এবার তার শিকার বাটলার। ৫টি চারে ৮০ বলে ৪৩ রান করেন বাটলার।
তবে বেয়ারস্টোকে নিয়ে চিন্তায় ছিলো ভারত। কারণ দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পথে সেঞ্চুরির দিকেই হাঁটচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষটা নিজেদের করেই নিলেন ভারতের বোলাররা। ৮৪তম ওভারের চতুর্থ বলে বেয়ারস্টোকে বিদায় দেন জয়ন্ত। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় ভারত। ৬টি চারে ১৭৭ বলে ৮৯ রান কওে আউট হন বেয়ারস্টো। টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি ছিলো বেয়ারস্টোর। দিনের শেষভাগে আরও একটি উইকেট শিকার করেছে ভারত। বেয়ারস্টোর সাথে সপ্তম উইকেটে ৪৫ রান যোগ করা ক্রিস ওকস নাম তুলেন উইকেট পতনের তালিকায়। ২৫ রান করা ওকসকে শিকার করেন উমেশ যাদব। দিন শেষে আদিল রশিদ ৪ ও গ্যারেথ ব্যাটি শূন্য রানে অপরাজিত আছেন। ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন উমেশ, জয়ন্ত ও জাদেজা।