Thursday, April 25

‘আমি চাচির দুই পাও চাইপ্যা ধরি, মেম্বরে জবো করে’…

আমি চাচির দুই পাও- আমারে কইছে চাচিরে (খোর্শেদা আক্তার-৫৫) জোর কইর‌্যা ধরতাম, যেন না লড়ে। কিছু একটা অইবো বুঝতাম পাইরা যাইতামগা চাই। পরে ছুরি দেহাইয়া আমারে মাইরলানির ডর দেহায়।

এরপর (চাচির) দুই পাও চাইপ্যা ধরি আর মেম্বরে (খোকন মিয়া) জবো করে। শইল্লে চিইট্যা পড়া রক্ত পাশের বিলে ধই। এই কামের লাইগ্যা মেম্বর আমারে দুই হাজার টেহা দেয়।’

ময়মনসিংহের নান্দাইলের একটি বিলে পড়ে থাকা গলাকাটা অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ শনাক্তের পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহরম আলী (৩৫) ১০ এপ্রিল ময়মনসিংহের আদালতে এই জবানবন্দি দেন।

অন্য আসামি কিশোরগঞ্জের যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন মিয়াকে (৩৮) রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নান্দাইল থানার পুলিশ। নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস আলী এসব তথ্য জানান।

নিহত খোর্শেদা আক্তার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দাচুল্লী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি যশোদল ইউনয়নের শহীদনগর গ্রামে। গত ৩ মার্চ নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের পাছদরিল্লা গ্রামের দুল্লি বিল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে ওই লাশ দাফন করা হয় নান্দাইল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৫ মার্চ নান্দাইল মডেল থানায় এসে লাশের ছবি দেখে ওই নারীকে নিজেদের মা বলে শনাক্ত করেন মো. সাইফুল ইসলাম (৩৮) ও আজিজুল ইসলাম (৩২)। এর আগে ২২ মার্চ সাইফুল কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জমির হিস্যা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে মহরম আলীকে দিয়ে সাইফুলের মা খোর্শেদা আক্তারকে ডেকে নেন যশোদল ইউপির সদস্য খোকন মিয়া।

এর পর থেকে সাইফুলের মা নিখোঁজ। সাইফুল জানান, তাঁর মা খোর্শেদা ছিলেন পৈতৃক ১০ শতক জমির একমাত্র ওয়ারিশ। নানা সুরত আলীর মৃত্যুর পর জমিটি মায়ের চাচাতো ভাইয়েরা ভোগ করছিল।

জমিটি থেকে নিজের হিস্যা উদ্ধার করতে গিয়ে নিখোঁজ হন খোর্শেদা। এদিকে দুই অভিযুক্তকে আটকের পর নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

Leave a Reply