
সকাল বেলা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করলে যে দারুণ উপকারটি পাবেন-জীবনকে সুন্দর ও সহজ করে তুলতে আপনার প্রয়োজন শারীরিক মিলন।
তবে শুধু শারীরিক মিলন হলেই হবে না, শারীরিক মিলন হতে হবে আনন্দদায়ক ও নিয়মিত।
এমনকি নিয়মিত আনন্দদায়ক শারীরিক মিলন বাড়িয়ে দিবে আয়ু। পাঠকদের জন্য এই বারের আয়োজন সকালের শারীরিক মিলনের উপকারিতা
মানসিক চাপ কমান
শারীরিক মিলন মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। মানসিক চাপ কমানোর আর কোন উপায় হাতের কাছে না থাকলে শারীরিক মিলন হতে পারে সহজ ও কার্যকর কৌশল।
শারীরিক মিলনের সময় ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ডোপামিনকে বলা হয় ‘সুখের হরমোন’।
ডোপামিন কয়েক ধরণের হরমোনের কার্যক্ষমতা কমায় যেমন, এন্ড্রোমিন। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এন্ড্রোমিনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়া।
ব্যয়াম হিসেবে নিতে পারেন
শারীরিক মিলনকে শরীর চর্চা হিসেবেও নিতে পারেন। শারীরিক মিলন করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। ফলে, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।
হিসেব করে দেখা গেছে, সপ্তাহে তিনবার মোট পনের মিনিট শারীরিক মিলন করলে বছরে ৭.৫ ক্যালরি চর্বি শক্তিতে রুপান্তরিত হয়।
বিস্ময়কর হলেও সত্যি সপ্তাহে তিনবার করে মোট পনের মিনিট শারীরিক মিলন করলে ৭৫ মাইল হাটার সমান শক্তি ক্ষয় হয়।
এছাড়া শারীরিক মিলনের মতো শরীর চর্চা করলে কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে পেশী ও হাড় আরো শক্তিশালী হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও শারীরিক মিলন
শারীরিক মিলন করার সময় রক্তচাপও কমে যায়। তবে, শুধুমাত্র শারীরিক মিলন নয়, শারীরিক মিলনের সময় আবেগের প্রকাশ করতে গিয়েও রক্তচাপ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। এমনই একটি কাজ হচ্ছে, যৌনসঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা।
শারীরিক মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে
শারীরিক মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। সর্দি-কাশির মতো রোগ সারিয়ে তুলতে চিকিৎসকের পরামর্শ না চেয়ে শরনান্ন হতে পারেন যৌনসঙ্গীর।
আমাদের শরীরে ফ্লু’র মতো রোগ প্রতিরোধ করে ইমিউনোগ্লোবিন এ। শারীরিক মিলনের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন এ’র পরিমান বাড়তে থাকে।
তারুণ্য ধরে রাখুন
অনেকেই তরুণ থাকতে চান। তাদের জন্য তো কথাই নাই। তারুণ্য ধরে রাখতে যৌনসঙ্গীর গুরুত্ব অপরিসীম।
একজন স্কটিস গবেষকের মতে, সপ্তাহে তিনবার শারীরিক মিলন করলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১০ বছর কম মনে হবে
