Friday, April 26

বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে একই তারিখে রোজা শুরুর দাবি

ওআইসির সিদ্ধান্ত মেনে বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে একই তারিখে বাংলাদেশে রোজা শুরু করার দাবি জানিয়েছে মুসলিম উম্মাহ সংগঠনের আলেম ওলামারা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। চাঁদ দেখা কমিটিতে ইসলামী বোদ্ধা না থাকার কারণেই ইসলামিক ফিকহ একাডেমির নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে মনে করেন ওআইসি’র প্রতিনিধি।

বিশ্বের যে কোন জায়গার আকাশে চাঁদ দেখা গেলে বিশ্বজুড়ে একই তারিখে রোজা শুরু ও ঈদ পালন করা হবে। ১৯৮৬ সালে জর্ডানের আম্মান সম্মেলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয় ওআইসির ফিকহ একাডেমী। সদস্য হওয়া সত্ত্বেও গত ৩২ বছর ধরে ওআইসির এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও তা অনুসরণের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন দেশের একটি মাজহাবের আলেম ওলামারা।

এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে ফের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঐ মাজহাবের আলেমরা। তারা জানান, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া ওআইসির অন্তর্ভুক্ত বাকি ৫৪টি দেশই একই দিন রোজা শুরু করে। তাদের দাবি, কোরআন হাদিসে নতুন চাঁদ দেখার হুকুম থাকলেও তা কোনো দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি।

মুসলিম উম্মাহ’র সহ-সভাপতি এম. এ. কাইউম বলেন, দেশে দেশে চাঁদ দেখে হিজরি মাস নির্ণয়ের কোনো সহীহ হাদিস কিংবা কোরআনের আয়াত নেই। তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ভাঙো; এই হাদিসটি সহীহ, এটার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। সঠিক হলো, এই সম্বোধন সকল মুসলিম উম্মাহকে করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওআইসির ফিকহ একাডেমির বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, কোরান হাদিসে নামাজ রোজা সূর্যের অবস্থান অনুসারে পালন করার কথা বলা থাকলেও রমজান মাস নতুন চাঁদ দেখে শুরু করতে বলা হয়েছে। তাই এবার ওআইসির সিদ্ধান্ত মেনে বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে একই দিন রোজা শুরু করার আহবান জানান তারা।

দেশের আকাশে আবহাওয়ার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে প্রয়োজনে জোতির্বিজ্ঞানের হিসাব ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।

Leave a Reply