Saturday, April 20

ক্যামেরায় ধরা না পড়লে আপনি কখোনোই বিশ্বাস করতেন না ঘটনা গুলো(ভিডিও)

আমাদের আশেপাশে অনেক ঘটনাই ঘটে চলেছে যা আমাদের দৃশ্যমান নয়। আবার অনেক ঘটনা রয়েছে যা আমরা লক্ষ্য করিনি কিন্তু ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
আজকের ভিডিওটিতে এমনই কিছু ধারণকৃত ভিডিও রয়েছে যা দেখলে আমাদের কাছে অবিশ্বাস হতে পারে তবে সত্য ঘটনা।
ক্যামেরাতে ধরা না পড়লে আপনি হয়তো বিশ্বাস করতেন না।-ভিডিওটি পোষ্টের নিচে দেয়া আছে। সরাসরি ভিডিওটি দেখতে স্ক্রল করে নিচে চলে যান।

অন্যরা যা পড়ছেঃ বিয়ে সহজ হোক। বিয়ের আগে প্রেম নয়, বিয়ের পরে পরকীয়া নয়।
পাশের বাসায় বিশাল ঝগড়া, মারামারি কাটাকাটি অবস্থা। কারণ হচ্ছে পাড়াতো শ্যালিকার সাথে দুলাভাইয়ের অন্যরকম সম্পর্ক আঁচ করতে পারা। বউটা আমার সমবয়সী, একসাথেই বড় হয়েছি। ওর বিয়ে হয়েছে বছর চারেক আগে। একটা বাচ্চাও আছে। আর শ্যালিকা,ও তো আমাদের অনেক ছোট।

সেদিনের বাচ্চা মেয়েটা হঠাৎ করেই অনেক বড় হয়ে গেলো। বেশ কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষা শুনছিলাম। আজ বিষয়টা ক্লিয়ার হলো। পাশাপাশি বাসা হওয়ার এবং দুলাভাইয়ের সাথে ফ্রি থাকায় একই সাথে উঠাবসা, আড্ডা দেয়া, হাসি তামাশা করতে করতে দুজনেই দুজনের প্রতি উইক হয়ে পড়েছে এবং তারা এটাকে চুড়ান্ত রুপ দিতে চাচ্ছে মানে বিয়ে করতে চাচ্ছে!!!

আমাদের বেশীরভাগ মুসলিম পরিবারে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশী উপেক্ষিত তা হলো পর্দা। শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে বলছিনা, ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। যদি শ্যালিকা এবং দুলাভাই দুজনই নিজেদের পর্দার ব্যাপারে সচেতন থাকতো তবে এমন ঘটনা নিশ্চয়ই ঘটতোনা।
কলেজে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই দেখতাম সবাই মিলে পরিপাটি হয়ে দরজার সামনের সিড়িতে গল্পের আসর জমিয়ে বসেছে। হাসতে হাসতে এ ওর গায়ে ঢলে পড়েতেছে। কি আনন্দের, কি মজার দিন না ছিলো। সেদিনের সেই মজা গুলোই আজ বিষাক্ত কাঁটা হয়ে দুইটা পরিবারের মানুষের জীবন বিষিয়ে তুলছে।

মানুষকে প্রকৃতিগতভাবেই দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে আর শয়তান তো সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজে কখন কোন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কাকে বিপথগামী করা যাবে। শয়তানের এই ধোঁকা থেকে,ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা,নিজের নফসের বিরুদ্ধে জিহাদই সবচেয়ে বড় জিহাদ।
আমাদের সমাজে শালী -দুলাভাই, দেবর -ভাবী মানে সেই মাপের কেমিস্ট্রি। সেই মাপের দহরম মহরম। বাইরে পর্দার ব্যাপারে অনেকেই বেশ সচেতন থাকলেও পরিবারে গায়রে মাহরামের ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীন! আর এই উদাসীনতার জন্য কত সংসার যে ভাঙ্গলো তার কোনো হিসাব নেই।

মনে আছে পায়েল আর পাবন নামে দুই বাচ্চার সুইসাইড নোট পড়ে কেঁদেছিলাম। তারা তাদের মা সহ সুইসাইড করেছিলো এই শালী – দুলাভাই পরকীয়ার জের ধরে। অথচ হাদীসে এসেছে- ‘‘দেবর মৃত্যু সমতুল্য।’’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৭২)

হাতেনাতে এর কুফল দেখতে পেয়েও আমাদের বিবেক আজ অন্ধ। পূর্ণ পর্দা মানতে আমাদের অস্বস্তি লাগে! লোকে কি বলবে, বাসার মানুষ কি ভাববে??
মেয়েদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো, “আপু, নিজেকে হেফাজত করে চলো। কেউ ব্যঙ্গ করবে, কেউ ক্ষেত বলবে, কেউ হুজুরনী বলে ক্ষেপাবে। সো হোয়াট! লোকের কথায় কি আসে যায়?

তুমি নিজে একটা অন্যরকম শান্তি পাবে। তোমার বাবাকে তোমার জন্য জবাবদিহি করতে হবেনা। তোমার জন্য কোনো নারীর স্বপ্ন ভঙ্গ হবেনা, কোনো অবুঝ শিশু তার মা হারা হবেনা। সর্বোপরি তুমি আল্লাহর কাছে সম্মানিত হবে “।

আল্লাহ আমাদের ফেতনা ফেসাদ থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন

Leave a Reply