Friday, April 26

বগুড়ায় পিস্তল-গুলিসহ জেএমবির সন্দেহভাজন ২ সদস্য আটক

বগুড়ায় দুটি বিদেশি পিস্তল ও ১২টি গুলিসহ নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সন্দেহভাজন দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার পৌওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।

আটক দুজন হলেন রুবেল হোসেন (২৭) ও আবদুল বারী (২১)। রুবেল হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছোট চক এবং আবদুল বারী পারচোকা গ্রামের বাসিন্দা।

বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সনাতন চক্রবর্তী দাবি করেন, আটক দুজন জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষিত সদস্য।

জঙ্গি দমন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বগুড়া শাখার একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জেএমবির আটক দুই সদস্য অস্ত্র চালনা ও বহনে প্রশিক্ষণ নিয়ে সামরিক শাখায় কাজ করছিলেন। তাঁদের কাজ ছিল সীমান্তবর্তী একটি দেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে জেএমবির অস্ত্রভান্ডারে তা পৌঁছে দেওয়া। পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার কাছে তথ্য ছিল, জেএমবির সামরিক শাখার দুই সদস্য রুবেল হোসেন ও আবদুল বারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভারত সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে তা গাজীপুরে সংগঠনের সামরিক শাখার এক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নেতার কাছে পৌঁছে দিতে আসছেন। তাঁরা অস্ত্র নিয়ে সরাসরি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাসে গাজীপুরে না এসে নওগাঁ-বগুড়া হয়ে বিকল্প পথে রওনা দেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজনই স্বীকার করেছেন, অস্ত্র ও গুলি ঢাকার আশপাশের এলাকায় জেএমবির সামরিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং নামের শুরুতে ‘এ’ আদ্যক্ষরের এক নেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। ওই নেতা জঙ্গি হামলা এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহে ডাকাতির কাজে এই অস্ত্র ব্যবহার করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply