Thursday, April 25

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারকাজ ঢাকার আদালতে স্থানান্তর

50214_scনারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি মামরা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত সকল নথিপত্র নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল নিস্পত্তি করে আদেশ দেন।
শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজ পেশ করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। মোট ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আরও নথিপত্র রয়েছে। তদন্তকালে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৯ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ওই প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৫টি সিদ্ধান্ত এসেছে। এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য হন। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে উপস্থিত স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমপি ওই নির্দেশ দেন বলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।

Leave a Reply