শর্ট স্কার্ট পরা মদ্যপ যুবতীরা যৌন আক্রমণের জন্য দায়ী। বৃটেনের এক-তৃতীয়াংশ নারী এমনটা বিশ্বাস করেন। নতুন এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, নারীদের অধিকার বিষয়ক একটি সেবামুলক সংস্থা বলেছে, কেন নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঘটে এবং লিঙ্গগত বৈষম্য কেন এ বিষয়টি নির্ধারণের জন্য ওই জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেন আট হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যদি কোনো যুবতী বা নারী রাত করে বাইরে বের হন, তার পরনে যদি থাকে শর্ট স্কার্ট, তিনি যদি মদ্যপ হয়ে যান এবং যদি তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হন তাহলে কি এর জন্য তিনি কি পুরোপুরি নাকি আংশিক দায়ী? জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ ভাগ পুরুষ এবং ৩৪ ভাগ নারী বলেছেন, এর জন্য ওই নারী দায়ী। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী শতকরা ১৪ ভাগ পুরুষ বলেছেন, খোলামেলা পোশাক পরা কোনো নারী যদি মদ্যপ হন তাহলে যৌন নির্যাতনের জন্য তিনি নিজেই দায়ী। ৬৫ বছরের ওপরে বয়স এমন নারীদের বেশির ভাগই বলেছেন, ওই নারী বা যুবতী পুরোপুরি না হয় আংশিক দায়ী। এমন মত দিয়েছেন এই বয়সসীমা গ্রুপের শতকরা ৫৫ ভাগ নারী। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় লন্ডন ওমেন্স মার্চ। এর প্রেক্ষিতে ফসেট সোসাইটি এ বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশ করে। ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে বয়সী যুবতীদের মধ্যে প্রতি ৫ জনে একজন বলেছেন, নারী সমতা এখন অনেকটা দূরে সরে গেছে। শতকরা ১৭ ভাগ মনে করেন লিঙ্গ সমতা পুরুষদের আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাবে। ওই সোসাইটির স্যাম স্মিথারস বলেছেন, আমাদের স্কুলগুলোতে যৌনতা ও সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করানো প্রয়োজন।