Saturday, April 27

ভারতে পতিতাবৃত্তির দায়ে বাংলাদেশি নারীর ৩ বছরের জেল

অবৈধভাবে ভারতে বসবাস ও দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ এক বাংলাদেশি নারীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির মহারাষ্ট্রের থানে জেলা আদালত। শিমু ওরফে মুসকান মসুদ গাজি নামে ২৪ বছর বয়সী ওই নারী ঢাকার বাসিন্দা।

গত সপ্তাহে শিমুকে দোষী সাব্যস্ত করে থানে জেলা আদালতের সহকারী দায়রা বিচারক এস.এ.সিনহা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির প্রিভেনশন অফ ইমমরাল ট্রাফিকিং অ্যাক্টের ৪ ও ৫ নম্বর ধারা এবং ১৯৪৬ সালের ১৪ (এ) ফরেনারস অ্যাক্ট অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই সাথে ১২ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয় ওই বাংলাদেশি নারীকে।

কারাদন্ড শেষে ওই নারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর থানে জেলার কোপরি থেকে আটক করা হয় ওই নারীকে।
যদিও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিল্পা তলহর ওই বাংলাদেশি নারীকে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে আদালতে জানায়, ওই বাংলাদেশি নারী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।

অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী সুনীল পতঙ্কর আদালতে জানায়, ওই নারী অত্যন্ত গরিব। কাজের খোঁজেই তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। যদিও আইনজীবীর এই আবেদনকে নসাৎ করে বিচারক জানান, এদেশে প্রবেশ করে অন্য নারীদের দেহ ব্যাবসায় ঠেলে দিয়ে ওই বাংলাদেশি নারী রুপি উপার্জন করছেন এবং ফরেনারস আইন লঙ্ঘন করেছেন।

Leave a Reply