মালদ্বীপের সৌভাগ্য নিয়ে আর নতুন করে কিছুই বলার নেই। স্রেফ ভাগ্যের জোরে এবং সেমিফাইনালে নেপালকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তবে ফাইনালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন প্রতিপক্ষ। গতকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শক্তিশালী ভারত। শিরোপা নির্ধারণী এই লড়াই অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।
মালদ্বীপের তো এবার গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার কথাই ছিল না। একটি ম্যাচও জয় পায়নি। করতে পারেনি কোনো গোল। সবচেয়ে বড় কথা হল এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের কোন ম্যাচেই জয় পায়নি মালদ্বীপ। শুধু মাত্র শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করেই লটারি ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছিল। সেই মালদ্বীপ অবশ্য সাফে কখনোই নেপালের কাছে হারেনি। এর আগে ৬ বারের লড়াইয়ে ৪টি জয় এবং ২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
সেই ধারা অক্ষুন্ণ রেখে পঞ্চমবারের মতো সাফ সুজুকি কাপ ফুটবল আসরে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা পেলেও সেবার ট্রফি জেতা হয়নি দ্বীপ দেশটির। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই ফাইনালে টাইব্রেকার শুট আউটে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হারে তারা। এবারও তাদের সামনে ভারত।
এ নিয়ে ১১বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মানবীর সিংয়ের জোড়া গোলে বড় জয় পেয়েছে তারা। অন্য গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড সুমিত পাসি। পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান ঘোঁচানো একমাত্র গোলটি করেন হাসান বশির। শুধুমাত্র ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আসরের সেমি ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতীয়দের। এবার আরেকটি শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে শক্তিশালী এই দলটি।