Friday, April 26

সোনালী সিলেট’র সম্পাদককে নাঈমের প্রাণনাশের হুমকি

অনলাইন ডেস্ক।।

সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সোনালী সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. তাজুল ইসলামকে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আসামি গৌছুল হক নাঈমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত সিলেট।
পরোয়ানাভূক্ত নাঈম সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার কপলা বাজার, শুরিগাঁও গ্রামের জমসিদ আলীর পুত্র। ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির নির্দেশনা থাকলেও অদৃশ্য কারণে গ্রেফতারে নিরব পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাপ্তাহিক সোনালী সিলেট পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ও প্রকাশক গৌছুল হক নাঈম পত্রিকাটি পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে জনৈক উস্তার আলীর কাছে গত ০৫/০২/২০১২ ইংরেজী তারিখে হস্তান্তর করেন । পরবর্তীতে উস্তার আলীও নাঈম পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশে ব্যর্থ হন এবং অন্যত্র হস্তান্তরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেক্ষেত্রে সোনালী সিলেট’র বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক তাজুল ইসলামের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তে উপণিত হয়ে গত ১০/০৪/২০১৬ ও ১৩/১১/২০১৬ ইংরেজী তারিখের পৃথক দু’টি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মো. তাজুল ইসলামের কাছে পত্রিকার মালিকানা স্বত্ব হস্তান্তর করেন। পুণরায় আবারও গৌছুল হক নাঈমের কাছ থেকে গত ২৮/১০/২০১৬ ইংরেজী তারিখে সম্পাদিত একখন্ড চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক মো. তাজুল ইসলাম পত্রিকার মালিকানা স্বত্ব গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক হতে ১৬১/২০১৭ নং ডিক্লারেশন সিল’র মাধ্যমে পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি প্রাপ্ত হন।
মো. তাজুল ইসলাম তার এজাহারে উল্লেখ করেন, মামলার ১নং আসামি নগরীর কাজিটুলাস্থ ৭৪ জোবেদা মঞ্জিলের বাসিন্দা মৃত গোলাম রহমান চৌধুরীর পুত্র নোমান চৌধুরী(৪০) সাপ্তাহিক সোনালী সিলেট পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও পশ্চিম শাহী ঈদগাহের হুছনাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মৃত হাফিজ মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন দিলু(৩৮) ওই পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন বিধায় তাদেরকে স্ব-স্ব পদে বহাল রেখে পত্রিকার প্রকাশনা কার্য্য পরিচালনা করেন। কিন্তু, নোমান ও দিলু মামলার ৩নং আসামি গৌছুল হক নাঈমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অন্যায় ও বে-আইনী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অপরাধে ও অফিসের সাথে কোনরূপ যোগাযোগ না রাখায় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নোমান ও দিলু-কে পত্রিকার দায়িত্বভার হইতে বহিষ্কার করেন।
এদিকে মো. তাজুল ইসলামের প্রতি আক্রোশান্বিত হয়ে নোমান, দিলু ও গৌছুল হক নাঈম প্রতিশোধ পরায়নতা বশত: ভিন্ন ভিন্ন তারিখে তাজুল ইসলামকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ০৫/০১/২০১৮ ইংরেজী তারিখে রাত অনুমান ৮টার দিকে মো. তাজুল ইসলাম পত্রিকার কার্যালয় সুরমা মার্কেট হইতে বের হওয়ার পর নোমান, দিলু ও গৌছুল হক নাঈমসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন লোক নিয়ে তাঁর গতিরোধ করে। মো. তাজুল ইসলাম কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামিগণসহ সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে নোমান ও দিলু-কে পত্রিকা হইতে বহিষ্কারের কৈফিয়ত তলব করতে থাকে। এ সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশ মো. তাজুল ইসলামকে প্রাণ নাশের চেষ্টাকালে তাঁর চিতৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে।
অপর দিকে নোমান, দিলু ও গৌছুল হক নাঈমসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত ২৫/০১/২০১৮ ইংরেজী তারিখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত, সিলেটে অভিযোগ দায়ের করেন তাজুল ইসলাম। যার মামলা মামলা নং- ২০/১৮।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমনজারী করলে ১নং আসামি নোমান ও ২নং আসামি দিলু আদালতে হাজির হলেও ৩নং আসামি গৌছুল হক নাঈম পলাতক থাকায় আদালত তার উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
উল্লেখ্য, পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক মালিকানা স্বত্ব প্রাপ্ত হয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে দীর্ঘদিন যাবদ ধারাবাহিকভাবে পত্রিকাটি প্রকাশনা করে আসছে। পরবর্তীতে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন ১৯৭৩ সালের বিধান অনুযায়ী পত্রিকার মালিকানা জনিত সম্পাদক ও প্রকাশক’র নিবন্ধনের/নামান্তরের জন্য আবেদন করিলে দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ২৫/১০/২০১৭ ইংরেজী তারিখের ০৫.৪৬.৯১০০.০১০.৩৪.১৮০.১৬.১১৩২(৯) নং স্মারক বলে মো. তাজুল ইসলামকে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি প্রদান করেন। যার ডিক্লারেশন সিল নং- ১৬১/২০১৭। সরকারী বিধি মোতাবেক তিনি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নিয়োজিত থেকে পত্রিকাটির প্রকাশনা করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply