Sunday, April 21

জবাব দিলেন ফারুকী

এ বছরের মুক্তির অপেক্ষায় আছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর আলোচিত ছবি ‘শনিবার বিকেল’। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ফিলিস্তিনের অভিনেতা ইয়াদ হুরানি, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, মামুনুর রশীদ ও কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার এই চলচ্চিত্রের নামে বেশকিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে যেগুলো সম্পর্কে একেকজন একেকরকম মন্তব্য করছেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে ফারুকী লিখেছেন, আমি ভেবেছিলাম এই বিষয়ে কিছু বলবো না, যেমনটা চলছে চলুক। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দাবানলের চেয়েও বিভ্রান্তি দ্রুত ছড়ায়। ‘শনিবার বিকেল’ ছবির বিষয়ে অনলাইনে যেসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার বিষয়ে আমাদের অফিসিয়াল বিবৃতি ‘ছবিয়াল’ পেজে দেখুন।

তিনি যুক্ত করেন, ‘তার সঙ্গে আরও বলতে চাই, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি ইসলামবিরোধী নই কিংবা প্রচারকও নই। আমি শুধুই একজন নির্মাতা। ছবি না দেখেই কাউকে ইসলামবিরোধী বলা কিংবা তার বিচার চাওয়া বিজ্ঞের কাজ হতে পারে না। ধন্যবাদ।’

এ বিষয়ে ছবিয়াল-এর পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়- ‘সকলের অবগতির জন্য: ‘শনিবার বিকেল’ ছবির কিছু স্থিরচিত্র দিয়ে অনলাইনে কিছু মানুষ ভুলভাল এবং মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে আমরা আমাদের দর্শকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গল্প সম্পর্কে কিছু না জেনে, সিনেমা না দেখেই কেউ কেউ আপন কল্পনায় গল্প তৈরি করে ফেলছেন। তারা বলছেন, সন্ত্রাসীদের মুখে দাড়ি এবং মাথায় হিজাব দিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে! আমাদের প্রশ্ন হলো, তারা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি দেখেই কিভাবে বুঝে ফেললেন তিনি সন্ত্রাসী? দাড়ির সাথে সন্ত্রাসের কী সম্পর্ক? তিনি তো পুলিশও হতে পারেন!

এখন এক দল মানুষ একেক বার একেক রকম জিনিস কল্পনা করে প্রতিবাদ শুরু করবেন, আর আমরা এসে খোলাসা করতে থাকবো “না ভাই, এটা এরকম না, এটা আসলে এইরকম”? এই করতে করতে এক সময় পুরা গল্পটাই তাদেরকে বলে দেই? কারন তারা তো অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, কষ্ট করে তো আর হলে যাবেন না সিনেমা দেখতে। তাহলে তাদের সুবিধার্থে অনলাইনেই পুরো গল্পটা লিখে দেই আমরা?

যারা এই অপপ্রচার করছেন তাদেরকে বলছি ধৈর্য্য ধারণ করে ছবি দেখে তারপর কথা বললে ব্যপারটা স্বাস্থ্যকর হবে। সকলকে ধন্যবাদ।’

Leave a Reply