Saturday, April 27

বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন সামিট এ্যাওয়ার্ড পেলেন আরজে সাইমুর

গত ২৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ” বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন সামিট-২০১৯”। ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের জন্য মূলধারার একটি অংশীদারীত্ব” জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা-১ দারিদ্র্য বিমোচন-৮ উপযুক্ত কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্জনের লক্ষে জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষমাত্রার অংশীদারীত্ব গ্রহণ করে “বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন ফোরাম’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ” বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন সামিট-২০১৯”। আরজে সাইমুর রহমানকে ডিজিটাল প্লাটফম বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। রেডিও স্বদেশ ও স্বদেশ নিউজ২৪, স্বদেশ.টিভি এর প্রতিষ্ঠাতা সাইমুর রহমান ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি একজন সফল আরজে, সাংবাদিক ও সংগঠক। আরজে সাইমুর রহমানের শিক্ষামূলক, বিনোদন ও সোস্যাল এক্টিভিটিস নিয়ে অনেক লাইভ অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও তার পরিচালিত পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ নিয়ে ’স্বদেশ ভাবনা’ অনুষ্ঠানটিও মানুষের অভিবাদন ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আরজে সাইমুর রহমান ডিজিটাল প্লাটফর্মে একটি জনপ্রিয় মুখ। সাইমুর রহমান বাবিসাস এ্যাওয়ার্ড, এজেএফবি স্টার এ্যাওর্য়াড, বিনোদনধারা পারফরমেন্স এ্যাওয়াড, রাধা রমন স্বর্ণ পদক, ফ্যাশণ ফেস্টিভাল পারফরমেন্স এওয়ার্ড, মহান মার্চ সম্মাননা, এমএইচজি পারফরমেন্স এ্যাওয়ার্ড, গুনীজন সম্মাননা, মিজাফ পারফরমেন্স এ্যাওয়ার্ড, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননাসহ অনেক সম্মাননায় সম্মানিত হয়েছেন। আরজে সাইমুর রহমান বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, আর্টিস্ট জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সি. সহ-সভাপতি, বিনোদনধারা ম্যাগাজিনের সহ-সম্পাদক।

উক্ত সামিটে জনপ্রিয় আলোচকবৃদ্নের মধ্যে অংশগ্রহন করছেনঃ সোলায়মান সুখন, ইকবাল বাহার, প্রিত রেজা,আরিফ নিজামি, মোঃসোবহান চৌধুরী, নাশেদ আলী, আলী আকবর প্রমুখ ;আরও চরক ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ছারপোকা।
আয়োজক দলের সদস্যবৃন্দ হলেন জনাব আলী আকবর – ইভেন্ট চেয়ার, জনাব মো। আরিফুল ইসলাম – রেজিস্ট্রেশন ও কমিউনিকেশন, ইভেন্ট অপারেশন জনাব মাসুম খান, মোস্তফা কামাল সোহেল – মিডিয়া অ্যান্ড পিআর। অর্গানাইজার হাই ওয়ে আইটি ও আইটি ভিশন বিডি ও কো-অর্গানাইজার ব্ল্যাক অ্যান্ড এডভেন্ট ।

============
আরও পড়ুন
===========
ক্যানসারের ওষুধ হবে ডিম

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা জিন সম্পাদনার মাধ্যমে এমন এক প্রকার মুরগি জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন, যা আর্থ্রাইটিস (বাত বা অস্থিসন্ধির প্রদাহ) কিংবা ক্যানসারের ওষুধসমৃদ্ধ ডিম পাড়তে সক্ষম! এসব মুরগির ডিমই হবে মানুষের ওষুধ! এই যুগান্তকারী গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাজ্যের এডিনবরা শহরের জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি রজলিন টেকনোলজিসের একদল বিজ্ঞানী। এই ওষুধ প্রচলিত কারখানায় উৎপাদিত ওষুধের চেয়ে ১০০ গুণ কম খরচে উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। গবেষকদের বিশ্বাস, তাঁদের এই গবেষণা থেকে পরবর্তী সময়ে ওষুধের বাণিজ্যিক চাহিদার জোগান দেওয়া সম্ভব।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. লিসা হেরন। তিনি বলেন, জিন পরিবর্তনের ফলে মুরগির কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা তাঁরা দেখতে পাননি। ওষুধসমৃদ্ধ ডিম পাড়তে গিয়ে তাদের কোনো সমস্যাতেও ভুগতে হয়নি। অন্য সব স্বাভাবিক মুরগির মতোই ডিম পেড়েছে এসব মুরগি। উল্টো ফার্মের মুরগির তুলনায় একটু বেশি চঞ্চল হয়েছে তারা। লম্বা একটি খাঁচায় তাদের রাখা হয়েছে। তাদের খাবার ও পানি দেওয়া থেকে দৈনিক যত্ন-আত্তির জন্য উচ্চ প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ দল নিয়োজিত রয়েছে।

মানবশরীরে অনেক রোগই হয় শরীর যখন প্রাকৃতিকভাবে নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ বা প্রোটিন পর্যাপ্ত মাত্রায় তৈরি করতে পারে না। এ ধরনের রোগ ওষুধ প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেসব ওষুধে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনটি দেওয়া থাকে। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এসব প্রোটিন বিভিন্ন সংশ্লেষ পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করে, যার উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। ড. হেরন ও তাঁর সহকর্মীরা এই বিপুল ব্যয় কমাতে মুরগির শরীরে একটি মানবজিন প্রতিস্থাপন করেন। এর ফলে মুরগিটি মানুষের শরীরে উৎপাদিত প্রোটিন উৎপাদনে সক্ষম হয়। মুরগির ডিএনএ ডিমের সাদা অংশে এসব প্রোটিন জমা করতে নির্দেশ দেয়।

ডিমের হলুদ অংশ আলাদা করার পর ড. হেরন দেখলেন, সাদা অংশে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছ। গবেষক দল তাঁদের গবেষণায় দুটি বিশেষ প্রোটিনের ওপর জোর দেন। রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্য এই দুটি প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয়। একটি শক্তিশালী ভাইরাস প্রতিরোধী ও ক্যানসার প্রতিরোধী আইএফএনআলফা২এ প্রোটিন। আরেকটি দেহের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্গঠনে থেরাপির কাজ করতে সক্ষম ম্যাক্রোফেজ-সিএসএফ প্রোটিন।

ওষুধের একটি ডোজ তৈরির জন্য তিনটি ডিমই যথেষ্ট বলে জানান গবেষকেরা। জিন সম্পাদিত এসব মুরগি প্রতিবছর ৩০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে সক্ষম বলে জানান তাঁরা।

বিজ্ঞানীরা এর আগে জিন পরিবর্তন ঘটিয়ে এমন ছাগল, খরগোশ ও মুরগি তৈরি করেছিলেন, যাদের উৎপাদিত দুধ বা ডিমের মাধ্যমে প্রোটিন থেরাপি সম্ভব হয়েছিল। তবে জিন প্রকৌশল করা সেসব প্রাণী বেশি সংখ্যায় জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়নি তখন। আর সেসব অনেক ব্যয়বহুলও ছিল।

Leave a Reply