গাইবান্ধায় ৫ বছরের শিশু তাহসিন ওরফে অর্ণবকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ৩ যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্মেশ্বর ভর্টচার্জ এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের বিল্লু মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৭), একই গ্রামের মৃত্যু আজগর আলীর ছেলে পাবেল মিয়া (১৯) ও একই গ্রামের রুবেল মিয়া (২৫)।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট মহিবুল হক সরকার মোহন জানান, সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রুমেলের ৫ বছরের ছেলে তাহসিন ২০১০ সালের ২৭ জুলাই মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ী খামার পীরগাছা গ্রামে বেড়াতে আসে। বিকেলে তাহসিন বাড়ির সামনে খেলা করার সময় জাহিদ, পাবেল ও রুবেল শিশু তাহসিনকে ফুঁসলিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবী করে। পরদিন তারা তাহসিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খামার পীরগাছা গ্রামের একটি ডোবায় দেওয়া পাট পঁচানোর (জাগ) নিচে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় তাহসিনের বাবা আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আজ ৩ জনের ফাঁসি ও ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। এর আগে ১০ আসামি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।