বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিক নাসিমের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করেছেন প্রেমিকা নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী। তার নাম গোলাপী খাতুন। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ওই প্রেমিক। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে প্রেমিকা গোলাপী খাতুন এ অনশন শুরু করেছেন। উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলামের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়া ছেলে শাহাদৎ হোসেন নাসিমের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে প্রতিবেশী গাজিউর রহমানের মেয়ে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ছাত্রী গোলাপী খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে নাসিম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার ছেলে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরই মধ্যে হঠাৎ গোলাপী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে মেয়েটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ছেলের বাবা নুরুল ইসলাম। মেয়ের মা বুলি খাতুন অভিযোগ করে জানান, পরে গোলাপী উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে মেয়ের দু’টো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় তিনি প্রতিস্থাপনের জন্য মেয়েকে একটি কিডনি দেন। তিনি আরও জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে নগদ প্রায় ১৬ লাখ টাকা প্রেমিক নাসিমের হাতে তুলে দেন। শেষমেষ মেয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু প্রেমিক নাসিম ও তার পরিবার মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রেমিকা গোলাপী খাতুন জানান, ২০০৬ সাল থেকে নাসিমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্রধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নাসিম তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু এখন সে ও তার পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই হয় বিয়ে করবে নইতো বিষপান করে আত্মহত্যা করবো-এই বলে হুমকি দেন গোলাপী খাতুন। এদিকে শাহাদৎ হোসেন নাসিম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়া পরিবারের লোকজন এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, অনশনের এই ঘটনার খবর জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।