Friday, April 26

চাকুরির প্রলোভনে ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রশান্ত দম্পত্তির বিরুদ্ধে

নিউজ ডেক্স।।

চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতের রেকর্ড কিপার প্রশান্ত কুমার দাশ ও তার স্ত্রী ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে তারা নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল কালো টাকার মলিক হয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে গতকাল ২১ নভেম্বর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আলাদা ৩টি অভিযোগ করেছেন চাকুরি প্রত্যাশী মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক।

‘চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক শ্রী রুনুশ্রী দাশগুপ্তার পুর্ব পরিচয়ের সুত্রে কথা হলে জানান, তিনি চট্টগ্রামে একাধারে দীর্ঘদিন চাকুরী করে আসছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, চাইলে তিনি যেকোন সময় যে কাউকে চাকরী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তার সাথেই তার ঘনিষ্ঠ সখ্যতা রয়েছে। তাছাড়া তার স্বামী প্রশান্ত কুমার দাস চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।

সেখানেও কয়েকজন লোককে চাকরী দেওয়া সম্ভব। এছাড়া তার মা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত আছেন। এসমস্ত মনভোলানো কথা বলে  তারা সুকৌশলে আমার মনে বিশ্বাস জন্মান যে, হয় আমাকে পাসপোর্ট অফিসে নতুবা কোর্টে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবেন। বেকারত্বের কারণে হতাশা ও পারিবাকি চাপের কারনে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার মৌখিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এবং তা নগদে পরিশোধও করেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায়  সন্দেহ বাড়তে থাকায় টাকা ফেরত চাইলেই বাঁধে সমস্যা।এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে টাকার জন্য গত ১৮/১১/২০১৯ তারিখে আগ্রাবাদের বাসায় গেলে টাকা দিবেনা বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়।  টাকা না দিলে ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিব বললে অভিযুক্ত প্রশান্ত আদালতে চাকরির দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজীর মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এর সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম কান্নাকন্ঠে বলেন, অভাবের সংসারে আমার একটা চাকরির খুবই প্রয়োজন ছিল। প্রশান্ত কুমার দাশ ও তার স্ত্রী রুনুশ্রী দাশ গুপ্তার কথা বিশ্বাস করে তাদেরকে নগদ ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমাকে চাকুরি দেয়া তো দূরের কথা, উল্টো টাকা চাইলে মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বারবার। আমি এর বিচার চাই।

Leave a Reply